সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে চলেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি। শুক্রবার মাহদি জানান সংসদে গিয়ে ইস্তফা জমা দেবেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিক থেকেই ইরাকে শুরু হয় সরকার বিরোধী আন্দোলন। সরকারি অধিকারিকদের দুর্নীতি ও আর্থিক মন্দার মারে রাস্তায় নেমে আসে জনতা। ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইরানের হস্তক্ষেপ নিয়েও প্রতিবাদ জানায় বিক্ষোভকারীরা। গত বুধবার নাজাফ শহরে ইরানের দূতাবাসেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এই আন্দোলনের জেরে এখনও পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি। যার জেরে ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়ছিল। সেই চাপের মুখেই সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন আদিল আবদুল মাহদি। বৃহস্পতিবারই ইরাকে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৪৪ জন আন্দোলনকারী। আহত হয়েছেন ১ হাজার মানুষ। তার ২৪ ঘণ্টার মাথায় প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিলেন। একটি বিবৃতি দিয়ে আবদুল মাহদি জানান, ‘আমি সংসদে ইস্তফাপত্র দেব।’ তার কয়েক ঘণ্টা আগেই ইরাকের অত্যন্ত প্রভাবশালী শিয়া ধর্মগুরু আয়াতুল্লা আলি সিস্তানি সাপ্তাহিক ধর্মোপদেশের সময় বলেন, সংসদের উচিত বর্তমান মন্ত্রিসভাকে সরিয়ে দেওয়া। এর পরে বিভিন্ন দলও বিবৃতি দিয়ে বলে, বর্তমান সরকারের ওপর তাদের আস্থা নেই। পরে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার কথা শুনে আনন্দে মেতে ওঠেন বিক্ষোভকারীর। এদিনও বাগদাদের তাহরির স্কোয়ারে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের মোকাবিলায় তৈরি ছিল রায়ট পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার কথা শুনে সেখানে মজুত গাড়িগুলিতে দেশাত্মবোধক গান বাজতে শুরু করে। আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা এই প্রথমবার বিজয় অর্জন করলাম। এই জয় শহিদদের উৎসর্গ করছি। তবে অন্যান্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’ সব মিলিয়ে, প্রধানমনরী ইস্তফা দিলেও পরিস্থিতি যে এখনই শান্ত হচ্ছে না তা বোঝা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: দিনেদুপুরে লন্ডন ব্রিজে ছুরি নিয়ে হামলা, পুলিশের গুলিতে নিহত আততায়ী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.