সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় সব ধরনের মানবিক সাহায্য পাঠানো বন্ধ করল ইজরায়েল। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হল কিনা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দপ্তরের তরফে কোনও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়নি। তবে এটা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলের মার্কিন প্রস্তাব মেনে না নিলে পরিণাম ভালো হবে না।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ জটিলতার পর কাতার, মিশর ও আমেরিকার উদ্যোগে সম্পন্ন হয়েছিল গাজা ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। যদিও একেবারে শেষ মুহূর্তে হামাসের তরফে বন্দিদের নামের তালিকা না দেওয়ায় বেঁকে বসেন নেতানিয়াহু। এরপর নামের তালিকা প্রকাশ করা হয় হামাসের তরফে। শেষপর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলতে থাকা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হয়েছিল সাম্প্রতিক ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে। বেসরকারি মতে নিহতের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। যদিও সরকারি হিসেবে তা ৬১ হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে গাজাতে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ হাজার। জখম ১ লক্ষেরও বেশি।
যুদ্ধবিরতি শেষ হয়েছে শনিবার। দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি কবে শুরু হতে পারে তা ঠিক হবে দুই দেশের মধ্যে ‘দরাদরি’ শেষ হলে। বলাই বাহুল্য, হামাসকে অবশিষ্ট ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। এবং সেই সময় ইজরায়েল হামলা চালাবে না।
এর আগে ইজরায়েল জানিয়েছিল, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোয় তাদের আপত্তি নেই। রমজান মাসে তা চলতেই পারে। যা শেষ হবে ২০ এপ্রিল। তেল আভিভ এও জানিয়েছিল, প্রস্তাবটি ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের কাছ থেকে এসেছে। এবং সেক্ষেত্রে প্রথমদিনই হামাসকে পণবন্দিদের অর্ধেককে মুক্তি দিতে হবে, এই ছিল শর্ত। এরপর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে দুই দেশ একমত হলেই বাকিদের মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু এতে রাজি হয়নি হামাস। তারা জানায়, এমন প্রস্তাবে স্পষ্ট যে ইজরায়েল আগে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলি অস্বীকার করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.