সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনায় মৃত্যুপুরী ইটালি। সংক্রামিত হয়ে বাড়িতেই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছিল এক তরুণীর। কিন্তু তাঁর সৎকার সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ, কেউই করোনার রোগীর সৎকারে এগিয়ে আসছিলেন না। এমনকী হাসপাতালগুলিও বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন মৃতার ভাই। যার জেরে গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে মৃত দিদির দেহ আগলে বসেছিল ভাই। এমনই মর্মান্তিক পরিস্থিতির শিকার ইতালির নাপোলি এলাকার বাসিন্দা লুকা ফ্রা্ঞ্জে। শেষঅবধি ৩৬ ঘণ্টা পর প্রশাসনিক কর্মীরা সংক্রমণ প্রতিরোধী পোশাক পরে এসে দেহ নিয়ে যায়। কয়েকজনের সাহায্য স্থানীয় একটি কবরখানা সেই দেহ কবর দেন।
এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মোট ১৩২ টি দেশে ছড়িয়েছে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার জনেরও বেশি। চিনের ইউহান শহরের পর করোনা ভাইরাসেক করাল গ্রাসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। ইতালি-ফ্রান্স ছাড়াও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকেও মৃত্যুর খবর আসছে। ইতালির পর স্পেনেও দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে COVID-19 জীবাণু। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনের। যার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬৬ জন। চিনের পর করোনা আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে ইটালিতেই। দেশের নাগরিকরা ঘর থেকেই বের হচ্ছেন না। কাজে আসছেন না প্রশাসনিক কর্মীরা। সেই পরিস্থিতিতে মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার সাক্ষী রইলেন লুকা ফ্রাঞ্জে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন লুকা ফ্রা্ঞ্জে। তিনি জানান, গত সপ্তাহে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪৭ বছরের টেরেসা ফ্রাঞ্জে। দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাঁর। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর প্রায় ৩৬ ঘণ্টা তাঁর দেহ আগলে বসেছিলেন ভাই লুকা ফ্রাঞ্জে। সৎকারের পর পরিবারের সদস্যরাও নিজেদের কোয়ারেন্টাইন করে রেখেছেন বলে খবর। লুকা জানান, “দিদি মারা যাওয়ার পর ৩৬ ঘণ্টা সৎকার করতে পারিনি। প্রশাসনিক কর্মী, হাসপাতাল এমনকী পুলিশের কাছেও ফোন করেও সাহায্য মেলেনি। ফলে সংক্রামিত দেহ আগলে আমরা দীর্ঘক্ষণ বসেছিলাম। এরপর আমাদের দেহে সংক্রমণ ছড়ালে তার দায় কে নেবে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.