সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বুধবার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি স্বাধীনতার ৩১ বছর পেরিয়ে এল। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের আবহে এদিন ইউক্রেনীয় জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কূটনীতির মঞ্চে অত্যন্ত জটিল ভারসাম্যের খেলায় মেতেছে ভারত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে জয়শংকর লেখেন, “বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা ও ইউক্রেনের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের অভিনন্দন। আমাদের (ভারত ও ইউক্রেনের) মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্কের যে ব্যপ্তি রয়েছে তার প্রতি আমরা দায়বদ্ধ।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, চলতি মাসের শুরুর দিকেই ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী কুলেবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জয়শংকর। দ্রুত ভারতের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী সে দেশে পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এর আগেও একাধিকবার কিয়েভ ও মস্কোর কাছে যুদ্ধ থামানোর আরজি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইউক্রেন (Ukraine) ইস্যুতে কূটনীতির বিশ্বমঞ্চে কার্যত দড়ির উপরে হাঁটছে নয়াদিল্লি। যেমন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দার দবি জানতে চাপ বাড়ছে আমেরিকা ও পশ্চিমের দেশগুলি। তেমনই, ঐতিহাসিক বন্ধু রাশিয়াকে দূরে ঠেলে চিনের হাত মজবুত করতে চায় না ভারত। অতীতে ইউক্রেন ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত। শুধু তাই নয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মস্কো থেকে অশোধিত তেল কিনছে নয়াদিল্লি। পাশাপাশি, ইউক্রেনে ত্রাণ পাঠিয়ে এবং আমেরিকার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক মজবুত করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদি সরকার।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি তারা। লড়াইয়ে কয়েক হাজার সেনা ও বিপুল অস্ত্র খুইয়ে গত এপ্রিলে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্বে ইতি টানার কথা ঘোষণা করে মস্কো। পাশাপাশি, মারিওপোল ও দোনবাস অঞ্চলে অভিযান তীব্র করে তোলে পুতিনের বাহিনী। ইতিমধ্যে মারিওপোল দখল করে ফেলেছে রুশ ফৌজ। দোনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনের শেষ ঘাঁটি সেভেরদোনেৎস্কও দখল করেছে পুতিন বাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.