সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার প্রভাব যে অর্থনীতিতে পড়েছে তা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই। এবার তার জেরেই জনসন বেবি ট্যালকম পাউডারের বিক্রি বন্ধ করছে জনসন অ্যান্ড জনসন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে বন্ধ হবে বিক্রি। মঙ্গলবার বহুজাতিক সংস্থার তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারীর কারণে কমে গিয়েছে চাহিদা। তাই বাধ্য হয়েই বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত বদল করা হতে পারে বলেই জানিয়েছে ওই সংস্থা।
১৯৪৮ সাল থেকে ভারতে এই পাউডারের ব্যবসা করছে জনসন অ্যান্ড জনসন। তবে বারবার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই সংস্থা। আমেরিকার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত বছর জানিয়েছিস, এই প্রথম জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। অ্যাসবেস্টস শিশু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তার সংস্পর্শে এলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। যদিও, জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডারে মেলা অ্যাসবেস্টসের মাত্রা ছিল অত্যন্ত কম। মাত্র ০.০০০০২ শতাংশ অ্যাসবেস্টস আছে এই পণ্যে। কিন্তু, তাতেও কোনও ঝুঁকি নেয়নি জনসন অ্যান্ড জনসন।
সংস্থার সম্মানের কথা মাথায় রেখে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল প্রচুর বেবি পাউডারের কৌটো। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, একই লটের মোট ৩৩ হাজার পণ্য আমেরিকার বাজার থেকে তুলে নেয় সংস্থাটি। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে। যদিও, তাঁদের পণ্যে কোনও অ্যাসবেস্টস নেই বলেই দাবি করে জনসন অ্যান্ড জনসন। যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাঁর বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সংস্থাটি। এর আগে একাধিকবার জনসন অ্যান্ড জনসনের পণ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভারতেও একাধিকবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের পণ্য। এদেশেও জনসনের পণ্যে অ্যাসবেস্টস পাওয়া গিয়েছিল।
তবে করোনা ভাইরাস বিশ্বজুড়ে হানা দেওয়ার পর কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা কমেছে জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি ট্যালকম পাউডারের। গত তিন মাসে সংস্থার লাভের অঙ্কও বিশেষ বাড়েনি। তাই আপাতত বন্ধ থাকবে বিক্রি। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ছাড়া বাকি দেশগুলোয় বিপণন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলবে বলে জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.