সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন এক ‘বিদ্রোহী’। সেদেশ থেকে পালিয়া আসা এক যুবতী ইয়োনমি পার্ক অভিযোগ করলেন কিম নাকি প্রতি বছর তাঁর ‘মনোরঞ্জন’ করার জন্য বেছে নেন ২৫ জন তরুণীকে। আর এই ‘অভ্যাস’ তিনি নাকি পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। কিমের বাবা কিম জং ২ নাকি বিশ্বাস করতেন কমবয়সি মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তাঁকে অমরত্ব দেবে!
ইয়োনমি জানিয়েছেন, এই মেয়েদের বেছে নেওয়ার সময় দেখা হয় তাঁদের শারীরিক সৌষ্ঠব। দেখা হয় তাঁরা কুমারী কিনা। পাশাপাশি প্রত্যেকের পারিবারিক দিকটিও খতিয়ে দেখে বুঝে নেওয়া হয় শাসকের প্রতি আনুগত্য কতটা রয়েছে। তবে ২৫ পেরিয়ে গেলেই আর তাঁদের রাখা হয় না। এমনকী তাঁকেও দুবার ডাকা হয়েছিল বলে দাবি অভিযোগকারিণীর। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁর পরিবারের কারণেই তাঁকে নির্বাচিত করা হয়নি বলেই দাবি তাঁর। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, দলাই মলাই করা থেকে নাচ-গান এবং শরীরী সংসর্গ সব রকম ভাবেই শাসককে তুষ্ট করতে হয় ওই তরুণীদের। রীতিমতো খুঁজেপেতে তাঁদের সন্ধান করে কিমের স্যাঙাৎরা। কেবল কিম নয়, উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের লালসার শিকারও হতে হয় ওই তরুণীদের। অভিযোগ এমনই।
উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উনের (Kim Jung Un) অমানবিক মানসিকতার কথা সারা বিশ্ব জানে। করোনাকালে অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচুর মানুষ দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করতেন। সেই সময় তাঁদের আধপেটা খেতে দিয়ে এতটাই পরিশ্রম করানো হচ্ছিল যে কিছুদিনের মধ্যেই প্রাণ হারাচ্ছিলেন ওই মানুষগুলি। এরপর তাঁদের মৃতদেহগুলি মাটি চাপা দিয়ে জৈব সার তৈরি করে তা দিয়ে ফুল চাষ করা হচ্ছিল। মানবাধিকার ভঙ্গ করার এমন নজির বার বারই প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার উঠল এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.