সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার মৎস্যজীবীকে মাঝ সমুদ্রে গুলি করে খুন করেছিল উত্তর কোরিয়ার নৌ সেনারা। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চাইলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন (Kim Jong Un)।
শুক্রবার সিওলকে পাঠানো এক চিঠিতে কমিউনিস্ট উত্তরের একনায়ক কিম বলেছেন, “গোটা ঘটনাটাই অবাঞ্ছিত ও লজ্জাজনক। এই দুঃখজনক ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। দক্ষিণ কোরিয়ার নিরীহ নাগরিকের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটা ঠিক হয়নি। করোনা আবহে তাঁদের মদত দেওয়ার বদল আমরা প্রেসিডেন্ট মুন ও দক্ষিণের দেশবাসীকে হতাশ করেছি।”
দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে নিহত ব্যক্তির বয়স চল্লিশের কোঠায়। তাঁর দু’টি সন্তান আছে। সম্প্রতি তাঁর ডিভোর্স হয়ে যায়। তিনি আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন। গত এক দশকে এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার কোনও নাগরিক উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের হাতে মারা পড়লেন। এর জেরে দুই কোরিয়ার মধ্যে হঠাৎ উত্তেজনা বেড়ে যায়। মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার জলসীমার মধ্যে ঢুকে পড়েন দক্ষিণ কোরিয়ার ওই নাগরিক। পেশায় মৎস্যজীবী ও ব্যক্তি তিনি লাইফ জ্যাকেট পরেছিলেন। সোমবার পেট্রলচালিত একটি ভেসেল নিয়ে তিনি ইওনপিনং দ্বীপ থেকে উধাও হয়ে যান। উত্তর কোরিয়ার জলসীমায় ধরা পড়লে তাঁকে টানা ১০ ঘণ্টা জেরা করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার অভিযোগ, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি করোনা রোগী ছিলেন। তিনি করোনা সংক্রমণ ছড়াতেই উত্তর কোরিয়ায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় উপরমহলের নির্দেশে উত্তর কোরিয়ায় সেনারা তাঁকে ১০ বার গুলি করে ও তাঁর ট্রলারটি পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার নৌ সেনাদের সাফাই, করোনা ভাইরাস যাতে উত্তর কোরিয়ায় না ঢোকে তাই ওই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার সেনাদের এই ঘৃণ্য কাজের তীব্র নিন্দা করে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার ফলে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমা রেখা ৩৮ প্যারালেলও রীতিমতো উত্তপ্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.