সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা আগেই ছিল। এবার আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে রাশিয়া পৌঁছলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। বিলাসবহুল সাঁজোয়া ট্রেনে চেপে পা রাখলেন রাশিয়ার মাটিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনাবেচার ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে। যার প্রভাব পড়তে পারে ইউক্রেন যুদ্ধে।
জাপানের সংবাদমাধ্যম জেএনএন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিলাসবহুল সাঁজোয়া ট্রেনে চেপে উত্তর কোরিয়ার (North Korea) নেতা কিম রাশিয়ার (Russia) সীমান্ত সংলগ্ন খাসান শহরে পৌঁছন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। চার বছর পর কোনও বিদেশ সফরে গেলেন কিম। এই মুহূর্তে রুশ শহর ভ্লাদিওভোস্তকে বার্ষিক অর্থনৈতিক ফোরামে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। এই শহরেই বৈঠকে বসবেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। কয়েকদিন আগেই নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন (US) আধিকারিক দাবি করেছিলেন, রুশ শহর ভ্লাদিওভোস্তকে সেপ্টেম্বরেই বৈঠকে বসবেন পুতিন ও কিম। এই বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে গোলাবারুদ, অস্ত্রশস্ত্র, অত্যাধুনিক মিসাইল কেনাবেচার ব্যাপারে চুক্তি হতে পারে। প্রসঙ্গত, আমেরিকার তরফে আগেই উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, তারা যদি রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে তাহলে তার দাম চোকাতে হবে।
এবার আমেরিকার সেই হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করে রাশিয়ায় পা রাখলেন কিম (Kim Jong Un)। উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়কের সফর নিয়ে মুখ খুলেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ। রুশ সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, “বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হবে।” আমেরিকাকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশি দেশগুলির সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক আরও দৃঢ় হলে দু’দেশের স্বার্থসিদ্ধি হবে। এখানে আমেরিকার কোনও হুঁশিয়ারি মানা হবে না।”
উল্লেখ্য, গত মাসে হোয়াইট হাউসের (White House) জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু উত্তর কোরিয়ায় তাঁর সফর চলাকালীন রাশিয়ার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের থেকে গোলাবারুদ কেনার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। ফলে মস্কোর সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের যে মজবুত সম্পর্ক রয়েছে তা আরও দৃঢ় হচ্ছে। তার মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদ সংস্থা দাবি করে, কিমের দেশের সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়ায় উদ্যোগী রুশ প্রশাসন। এমনকী শুধু উত্তর কোরিয়াই নয় এই মহড়ায় চিনের যোগদানও চাইছে মস্কো। ফলে, কিমের রাশিয়ার যাওয়ায় চাঞ্চল্য যে আরও বাড়ছে তাতে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.