সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে, তত যেন আরও নৃশংস হয়ে উঠছেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন। একেবারে জেমস বন্ডের ছবির আদলেই এক শীর্ষ সেনা আধিকারিককে রাক্ষুসে পিরানহা মাছ ভরতি পুকুরে ফেলে নাকি হত্যা করেছেন কিম।
[আরও পড়ুন: ৬০ জনকে খুন! অপরাধ জগতের ভয়ংকরতম খুনিকে দেখে শিউড়ে উঠছেন গোয়েন্দারা]
সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি স্টার’ সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এক সেনাকর্তাকে হিংস্র পিরানহা ভরা পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। গত মে মাসে আমেরিকায় তাঁর দূত হিসেবে পাঠানো কূটনীতিকের পরে কিমের অভিনব হত্যালীলায় এটিই সাম্প্রতিকতম সংযোজন। সূত্রের খবর, কিমের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছিলেন ওই আধিকারিক। কোনওভাবে সেই খবর পৌঁছে যায় তাঁর কাছে। তারপরই ওই সেনাকর্তাকে হত্যার নির্দেশ দেন কমিউনিস্ট দেশটির প্রধান। তবে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি অত্যন্ত নৃশংস ছিল। প্রথমে ওই সেনাকর্তার হাত, পেট ও পা ধারাল চাকু দিয়ে চিড়ে ফেলা হয়। তারপর তাঁকে ফেলে দেওয়া হয় পিরানহা ভরা পুকুরে। রক্তের গন্ধে ধেয়ে আসে হাজার হাজার রাক্ষুসে মাছ। মুহূর্তের মধ্যে অসহায় মানুষটিকে আঁচড়ে, কামড়ে জীবন্ত খেয়ে ফেলে তারা। বিদ্রোহীদের বার্তা দিতেই এই পন্থা নিয়েছেন কিম, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
অনেকের ধারণা, ১৯৬৫ সালে মুক্তি পাওয়া জেমস বন্ডের ছবি ‘ইউ ওনলি লিভ টোয়াইস’ ছবি থেকেই এই অভিনব হত্যার ছক সাজিয়েছেন কিম বলেই মনে করছেন অনেকে। ওই ছবির ভিলেন ব্লোফিল্ডের একটি পিরানহা ঠাসা পুকুর ছিল, যেখানে ছুঁড়ে ফেলে সহকারী হেলগা ব্র্যান্ডকে সে খুন করার ফন্দি এঁটেছিল। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও পান থেকে চুন খসলেই হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন কিম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে খুন করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার বিশেষ দূত কিম হায়োক চোল ও তাঁর সঙ্গী বিদেশমন্ত্রকের চার কর্তাকে। তারপরই এহেন কাণ্ডে আবারও কিমের নৃশংসতায় শিউড়ে উঠছে বিশ্ববাসী৷
[আরও পড়ুন: টয়লেট ভেবে বিমানের আপৎকালীন দরজা খুললেন পাকিস্তানের মহিলা!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.