সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কে কাঁপছে ব্রিটেন (UK)। এই প্রথম একদিনে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার পেরিয়েছে গত বুধবার। ২০২০ সালের মার্চে অতিমারীর শুরুতেও একসঙ্গে এতজনের মৃত্যুর কোনও রেকর্ড ছিল না সেখানে। ব্রিটেনজুড়ে চলছে ছ’সপ্তাহের লকডাউন। চলছে টিকাকরণও। তবু এই মৃত্যুমিছিল ভাবাচ্ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে (Boris Johnson)। এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, লকডাউনে ফাঁক থাকছে। তা আরও কড়া হওয়া দরকার।
ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী রবার্ট ওয়েস্ট বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাঁর মতে, বর্তমান লকডাউনে অনেক কিছুরই অনুমতি রয়েছে। সেই কারণে ভাইরাসকে আটকানো যাচ্ছে না। আরেক বিজ্ঞানী সুসান মিচিও জানাচ্ছেন, নতুন স্ট্রেন থেকে এত বেশি সংক্রমণ ছড়ানোর অর্থই হল নিষেধাজ্ঞায় ফাঁক রয়েছে। ব্রিটিশ সরকার এই মতকে মেনেও নিয়েছে কার্যত। ইতিমধ্যেই আমজনতার কাছে আরজি জানানো হয়েছে, সকলে যেন নিজেকে একজন কোভিড রোগী মনে করে সাবধানতা অবলম্বন করেন। সামাজিক দূরত্ব মানা থেকে মাস্ক পরার মতো সব ক’টি নির্দেশ যেন কঠোর ভাবে মেনে চলেন অক্ষরে অক্ষরে। নতুন লকডাউনে সবাইকে বাড়ির ভিতরেই থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি কারণ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাইরে বেরনোয়।
এদিকে, নয়া আতঙ্কের মাঝেই করোনা টিকা নিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের দুই সদস্য। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তাঁর স্বামী ডিউক অফ এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। বাকিংহাম প্যালেস সূত্রে শনিবারই এই খবর জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, উইন্ডসর প্যালেসে রাজপরিবারের এক ডাক্তার এসে তাঁদের ভ্যাকসিন দিয়ে গিয়েছেন। কোনও ধরনের গুজব যাতে না ছড়ায়, তাই বিষয়টি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেন রানি। এখনও পর্যন্ত ব্রিটেনে ১৫ লক্ষ মানুষ করোনা টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ৯৪ বছরের রানি ও তাঁর ৯৯ বছরের স্বামী। লন্ডনের মেয়র আগেই জানিয়েছেন, শহরের প্রতি ৩০ জনের মধ্যে একজন আক্রান্ত নতুন স্ট্রেনে। ফলে আশঙ্কা রয়েছে বাকিংহাম প্যালেসেও। অতিরিক্ত সতর্কতা ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.