সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবারও স্বস্তি পেলেন না হীরক ব্যবসায়ী নীরব মোদি। বুধবার ব্রিটেনের হাইকোর্টে ওঠে তাঁর মামলা। কিন্তু আদালত এবারও তাঁর জামিন খারিজ করে দেয়। মঙ্গলবার লন্ডনের রয়্যাল কোর্ট অফ জাস্টিসে তাঁর মামলার শুনানি হয়। এরপর আজ সিদ্ধান্ত জানায় আদালত।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ১৩ হাজার কোটিরও বেশি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে নীরব মোদির বিরুদ্ধে। ১৯ মার্চ লন্ডনে গ্রেপ্তার হন নীরব মোদি। লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে পুলিশের ফাঁদে পড়েন তিনি। তারপর থেকে একাধিকবার তিনি আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করেছেন। কিন্তু বারবার তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে আদালত। আপাতত তাঁকে রাখা হয়েছে হার ম্যাজিস্টিস প্রিজন ওয়ান্ডওয়ার্থে। এটি পশ্চিম ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংশোধনাগার।
[ আরও পড়ুন: বিবাদের কেন্দ্রবিন্দু বিখ্যাত হার্লে ডেভিডসন, ভারতের উপর ক্ষিপ্ত ট্রাম্প ]
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে ১৪ হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারি মামলায় নীরব মোদির প্রত্যর্পণের জন্য ব্রিটিশ সরকারকে অনুরোধ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নীরবকে লন্ডনে দেখা যাওয়ার পরেই তাঁকে দেশে ফেরাতে সচেষ্ট হয় ভারত। হীরে ব্যবসায়ী নীরবকে ভারতে প্রত্যর্পণ করার বিষয়টি আদালতে পাঠান ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। নীরব এবং তাঁর আত্মীয় মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের মুম্বইয়ের ব্র্যাডি হাউস শাখা থেকে থেকে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। ওই মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই দেশ ছাড়েন দু’জনে। এই মামলায় এখনও নীরব মোদির এক হাজার ৮৭৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করেছে ইডি।
প্রতারণার ছাড়াও নীরবের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে৷ এক প্রত্যক্ষদর্শীকে খুনের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি, আরও এক সাক্ষীকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ পাশাপাশি, নীরবের অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা৷ ভারত নীরব মোদির পাসপোর্ট আগেই বাতিল করে দিয়েছিল। কিন্তু গ্রেপ্তারির পর দেখা যায় নীরবের হেফাজতে একাধিক পাসপোর্ট রয়েছে। একটি মেট্রোপলিটন পুলিশের হেফাজতে, আর একটি মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জমা রয়েছে। তৃতীয় একটি রয়েছে দেশের ড্রাইভিং ও ভেহিকল লাইসেন্স দপ্তরে। তাছাড়া নীরবের কাছে একাধিক রেসিডেন্সি কার্ড রয়েছে। যার মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে থাকার অনুমতি রয়েছে। ফলে তাঁর অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল।
[ আরও পড়ুন: ‘মওকা মওকা’র পালটা, অভিনন্দনকে কটাক্ষ করে বিশ্বকাপের বিজ্ঞাপন পাকিস্তানের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.