সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসময়ে নির্বাচন ফ্রান্সে! রবিবার রাতে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আগামী ৩০ জুন ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নিম্নকক্ষের ভোট। ৭ জুলাই হবে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন। আচমকা কেন ভোট ঘোষণা করলেন ম্যাক্রোঁ?
অভিবাসন নীতি থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় দেশবাসী। ক্ষোভ রয়েছে দলের অন্দরেও। অখুশি শরিকরাও। দেশের অভ্যন্তরে অতি দক্ষিণপন্থীদের উত্থান হয়েছে। জার্মানি, অস্ট্রিয়ার পাশাপাশি ফ্রান্সেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে তারা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাম্প্রতিক নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন দক্ষিণপন্থীরা। যা ভাবাচ্ছে ম্যাক্রোঁর দলকে।
অন্যদিকে দেশবাসীও ম্যাক্রোঁর সরকারের উপর ক্ষুব্ধ। গোটা ইউরোপের মাথাব্যথা অভিবাসন নীতি, ব্যতিক্রম নয় ফ্রান্সও। উপরন্তু দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ে বলে অভিযোগ সেখানকার বাসিন্দাদের। এনিয়ে দেশের অন্দরে আন্দোলনও হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ব্রিটেন। ব্রেক্সিট পরবর্তী সময় দুদেশের মধ্যে যে বাণিজ্যিক চুক্তি হওয়ার কথা, সেক্ষেত্রও ম্যাক্রোঁর ভূমিকা আশাপ্রদ নয় বলেও ফ্রান্সের রাজনৈতিক মহলের দাবি। সবমিলিয়ে ব্যাপক চাপে থাকা ফরাসি প্রেসিডেন্ট আচমকাই নির্বাচনের ঘোষণা করলেন।
দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন,”এই সিদ্ধান্ত কঠিন এবং নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে এই সিদ্ধান্ত আশা-ভরসারও। ফ্রান্সের মানুষ নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কী চাইছে, তা বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত এটি।” উল্লেখ্য, ২০২৭ সালে সে দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই সরকার ভেঙে নির্বাচনের পথে হাঁটলেন ম্যাক্রোঁ। যদিও প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর ফিরে আসা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.