ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীর গলা কেটে খুন করল স্বামী। শুধু তাই নয়, রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রীকে বাথটবে শুইয়ে রেখে তাঁর পছন্দের গান ও শুনেছিল সে। চোখের সামনে স্ত্রীকে মরতে দেখার পরেও অনুশোচনা হয়নি। খুনের প্রমাণ লোপাট করতে শুরু করে স্বামী। তবে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে দোষ স্বীকার করেছে সে। তাতেও তার মধ্যে নেই অপরাধবোধ।
ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় (Florida)। অভিযুক্ত যুবকের নাম শিচেন ইয়াং। মাত্র ২১ বছর বয়সি ওই যুবক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সব কথা স্বীকার করেছে। তাতেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, ইয়াংয়ের এক প্রতিবেশি পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখতে পায়, মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ইয়াংয়ের স্ত্রী ফাম। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার গলার বাঁ দিকে গভীর ক্ষত রয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাতের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে সেই সময় উপস্থিত ছিল না অভিযুক্ত ইয়াং। পুলিশ থাকাকালীনই বাড়িতে ফেরে সে। তখনই জেরার মুখে সব কথা স্বীকার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, স্ত্রীকে খুন (Man Killed Wife) করার আগে একবারও মনে হয়নি কত বড় অপরাধ করতে চলেছে সে? উত্তরে অভিযুক্ত বলে, “আমি সেরকম শিক্ষা পেয়ে বড় হইনি, যে একটা কাজ শুরু করে অসমাপ্ত রেখে দেব। আমি সব কাজ শেষ করি।” আরও জানিয়েছে, গলা কেটে দেওয়ার পরে ফামকে বাথটবে শুইয়ে রেখে তার প্রিয় গান চালিয়েছে ইয়াং। প্রায় দশ মিনিট আহত অবস্থায় ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় ফামের। গোটা সময় স্ত্রীর হাত ধরে বসেছিল ইয়াং যেন কোনওমতে বাথটব থেকে পালাতে না পারে।
ফাম মারা যাওয়ার পরেই প্রমাণ লোপাটের কাজ শুরু করে ইয়াং। তার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই সম্ভবত বেরিয়েছিল সে। তার পরেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। প্রসঙ্গত, এর আগেও গার্হস্থ্য হিংসায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ইয়াং। আগামী আগস্ট মাসে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে সে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.