সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেরিল স্ট্রিপ, মারগট রবির মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়েছেন। তবে মিলেছে সাধের অস্কারটি। এই তো সবে হাতে তুলেছিলেন কেরিয়ারের দ্বিতীয় সোনার পুতুলটি। সেলিব্রেশনের রাতে তা আবার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল সেরা অভিনেত্রী ফ্র্যান্সেস ম্যাকডর্মান্ডের। অস্কার নাইটে চুরি হয়ে যায় সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারটি। কিছুক্ষণ পরই অবশ্য বমাল ধরা পড়ে যায় শ্রীমান চোর। তবে তার আগে ফলাও করে তা নিয়ে ছবি তুলে নিজের প্রাপ্তি হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করে দেয় সে।
That was pretty awesome. Great moment. Good for her and the rest of those ladies. #FrancesMcDormand #Oscars #Oscars90 pic.twitter.com/3bfc9lhugP
— Brien E. Edwards (@brienedwards1) March 5, 2018
[বিরল রোগে আক্রান্ত ইরফান, টুইটারে বার্তা দিলেন অভিনেতা]
জানা গিয়েছে, ৪৭ বছরের ওই ব্যক্তির নাম টেরি ব্রায়ান্ট। ঠিক কী কাজ সে করে, তা কেউ জানে না। কিন্তু সেলিব্রিটি পার্টিতে ঘুরতে দেখা যায় তাকে। অস্কারের পর তারকারা আফটার পার্টিতে ব্যস্ত ছিলেন। কোনওভাবে সে পার্টিরও পাস ছিল টেরির কাছে। নিজের অস্কারটি একটি টেবিলে রেখে পার্টি উপভোগ করছিলেন ফ্রান্সেস। সেই ফাঁকেই অস্কারটি সরিয়ে নেয় টেরি। সেটি হাতে নিয়ে আবার ছবিও তোলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করে নিজের হিসেবে দাবি করে সকলকে শুভেচ্ছা জানাতে বলে। সেটি নিয়ে পার্টির অন্যান্যদেরও দেখাতে থাকে। তখনই এক ফটোগ্রাফারের সন্দেহ হয়। তিনিই নিরাপত্তারক্ষীকে খবর দেন। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে হেফাজতে নেওয়া হয় টেরি-কে। জানা গিয়েছে, অস্কার-চোরকে ছেড়ে দিতে বলেছিলেন ফ্রান্সেস। তবে পুলিশ তাকে ছাড়তে নারাজ। আপাতত গারদে ঠাঁই হয়েছে শ্রীমান চোরের। জামিন পেতে গেলে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে তাকে।
Security at the Governors Ball are looking for this guy, who grabbed Frances McDormand’s Oscar and ran out with it. Wolfgang Puck’s photographer stopped him, got the Oscar back, and the guy disappeared back into the ball. Apparently Frances has said to let him go. #Oscars #Drama pic.twitter.com/5tlsx4Ulwt
— Cara Buckley (@caraNYT) March 5, 2018
[‘মেন্টাল হ্যায় কেয়া’-র ফার্স্ট লুকে চমকে দিলেন কঙ্গনা-রাজকুমার]
‘থ্রি বিলবোর্ডস আউটসাইড এবিং, মিসোরি’ ছবির জন্য এ বছর পুরস্কৃত হন ষাট বছরের মার্কিন অভিনেত্রী। এটি তাঁর দ্বিতীয় অস্কার। এর আগে ১৯৯৬ সালে সোনার পুতুল হাতে তুলেছিলেন ‘ফার্গো’ ছবিতে অভিনয়ের সৌজন্যে। সে ছবিতে এক পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ‘থ্রি বিলবোর্ডস’-এ এক ধর্ষিতার মায়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পুলিশের উদাসীনতায় যে প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে পরিত্যক্ত ‘বিলবোর্ডস’কে বেছে নেয়।
[অস্কার থেকে ছিটকে গেল নিজের ছবি, বিরক্তিতে অবাক কীর্তি অভিনেতার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.