সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কবে শান্ত হবে সিরিয়া? গোটা বিশ্বে যখন বারবার এই প্রশ্ন উঠছে, তখন আরও একবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পশ্চিম এশিয়ার দেশটি। শনিবার আলেপ্পোর নিকট রাশিদিনে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন মহিলা ও শিশু-সহ ১০০-রও বেশি মানুষ। আহত আরও অনেকে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী এই ঘটনার দায়স্বীকার করেনি। তবে সন্দেহের তির আইএসের দিকেই।
শুক্রবার দক্ষিণ পূর্ব সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল আল ফুয়া এবং কাফরিয়া গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষদের বাসে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছিল। প্রথম পর্যায়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে জেবরিন অঞ্চলের শরণার্থী শিবিরে নিয়ে আসা হচ্ছিল। শনিবার বিকেল নাগাদ আলেপ্পোর কাছে রাশিদিনে পৌঁছয় শরণার্থী বোঝাই বাসগুলি। এমনসময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলির মধ্যে ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এক ব্যক্তি ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এরপর রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা শরণার্থী বোঝাই বাসগুলির কাছে আসার পরেই বিস্ফোরণটি ঘটে। এর জেরে আগুন ধরে যায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলিতে। চারিদিকে তখন শুধু চিৎকার এবং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রক্ত। জানা গিয়েছে, সন্দেহ যাতে না হয় সেজন্য গাড়িটিতে নাকি শিশুদের খাবার রাখা ছিল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় উদ্ধারকারী দল। তাঁদেরই একজন জানান, ‘পুরো জায়গাটি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। চারিদিকে শুধু চিৎকার। অনেকেই বিস্ফোরণে জ্যান্ত পুড়ে যান। আমরা ১০০-রও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। আহত আরও অনেকে। মৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে।’ জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই বাশার আল আসাদ সরকার এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আর সেই চুক্তি অনুযায়ীই, যুদ্ধবিধ্বস্তদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছিল। তার মধ্যেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এখনও বহু মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য ওই অঞ্চলগুলিতে অপেক্ষা করছেন বলে খবর।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘ-সহ বিশ্বের বহু দেশ। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরেই ওই মানুষগুলিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সবার উচিত ওই মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসা। কারণ এখনও অনেকেই অপেক্ষা করছেন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.