সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোষ বলতে মায়ের কথা শুনে দাঁত মাজেনি চার বছরের শিশুটি। আর তাই পেটে সজোরে লাথি মারে মা। এরপরেই গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় চিলড্রেনস ন্যাশনাল মেডিক্যাল সেন্টারে। সেখানেই প্রাণ হারায় বছর চারেকের নোহলি আলেকজান্দ্রা মার্টিনেজ হার্নান্ডেজ। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ম্যারিল্যান্ডের গেইথারসবার্গে। অভিযুক্ত আইরিস হার্নান্ডেজ রিভাস নামে বছর কুড়ির এক যুবতী।
প্রথমে পুলিশকে আইরিশ জানায়, ‘তার মেয়ে স্নান করতে বাথরুমে যায়। ১৫ মিনিট হয়ে গেলেও কোনও আওয়াজ না পেয়ে ভিতরে গিয়ে সে দেখে মেয়ে বাথটাবে পড়ে রয়েছে।’ কিন্তু এরপরেই প্রশ্ন ওঠে, কেন তাহলে পুলিশকে ফোন করতে এক ঘণ্টা সময় নিলেন হার্নান্ডেজ?
পরে অবশ্য জেরার মুখে হার্নান্ডেজ বলে, ‘দাঁত মাজেনি বলে সে মেয়ের তলপেটে লাথি মারে। মারের চোটেই পিছনের দেওয়ালে ধাক্কা খায় নোহলি। আর তখনই তার মাথায় চোট লাগে।’ এর আগে স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিল, নোহলির সারা শরীরে কালশিটে দাগ ছিল। পুলিশি জেরায় আইরিশ স্বীকার করে নেয় যে, কয়েকদিন আগেও একবার বেল্ট দিয়ে মেয়েকে মেরেছিল সে। সেজন্যই কালশিটে দাগ পড়েছিল। বর্তমানে আইরিশকে শিশু নির্যাতনের দায়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.