সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জাস্টিস ডিলেড ইস জাস্টিস ডিনায়েড’। বাংলায় তর্জমায় করলে যা দাঁড়ায়, ‘বিচারে বিলম্ব মানেই অবিচার’। ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় দশক। এখনও দোষীদের শাস্তির জন্য অপেক্ষা করছেন জেহাদি তাণ্ডবে নিহত ও আক্রান্তদের পরিবার। আজমল কাসভের ফাঁসি হলেও আমেরিকায় বহাল তবিয়তে রয়েছে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানা। তবে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এবার পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী রানাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে আমেরিকা।
আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আমেরিকায় জেলবন্দি রানাকে ভারতের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে জো বাইডেনের প্রশাসন। গত মে মাসেই ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু প্রত্যর্পণের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে রানার আবেদন চলতি সপ্তাহে খারিজ হয়ে গিয়েছে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রানার আবেদন এখন ওয়াশিংটনের নবম সার্কিট বেঞ্চে বিচারাধীন। ইতিমধ্যে আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে ‘সারেন্ডার সার্টিফিকেট’ বা হস্তান্তর পত্রে সই না করার আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছেন রানার আইনজীবী। তবে চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত অপেক্ষা না করে ব্লিঙ্কেন প্রত্যর্পণের নির্দেশনামায় সই করতে পারবেন। আমেরিকার বিদেশ দপ্তর সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “প্রত্যপর্ণের বিষয়টি নিয়ে এখনই আমি কিছু বলব না। এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা বিচার বিভাগ স্পষ্ট করতে পারবে। তবে আমি এটাই বলব, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াই করতে বদ্ধপরিকর ওয়াশিংটন। ২৬/১১ হামলায় যারা জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিত।”
উল্লেখ্য, শৈশবের বন্ধু পাক জঙ্গি সংগঠন লস্করের অন্যতম সদস্য ডেভিড কোলম্যান হেডলি যে হামলার সঙ্গে যুক্ত, তা জানত রানা (Tahawwur Rana)। এ ব্যাপারে হেডলিকে সাহায্য করেছিল সে। হামলার জন্য হেডলি কী পরিকল্পনা নিয়েছিল রানা সবই জানত। পরে তদন্তকারীদের কাছে রানার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নেয় হেডলি। বলে রাখা ভাল, আগেই রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছিল মোদি সরকার। এরপর গত মে মাসেই ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.