সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের (Myanmar) সামরিক বুটের তলায় পিষ্ট গণতন্ত্র। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। এবার এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ক্ষমতা দখলের বছর খানেকের মধ্যেই অন্তত সাড়ে ৪ হাজার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে বার্মিজ সেনা।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নেত্রী আং সান সু কি’র গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে মায়ানমারে মসনদ দখল করে ‘টাটমাদাও’ বা বার্মিজ সেনা। তারপর থেকেই সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে চলছে প্রতিবাদ। সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। কয়েকদিন আগেই জুন্টার বিরুদ্ধে গণহত্যার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসে এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
এহেন পরিস্থিতিতে এক রিপোর্টে ‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’ দাবি করেছে, গত একবছরে বিক্ষোভ দমনের নামে সাধারণ মানুষের ৪ হাজার ৫০০টি বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বার্মিজ সেনা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাগাইং প্রদেশে ২ হাজার ৫৬৭টি বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে সেনা। চিন ও মাগওয়ে প্রদেশে যথাক্রমে ৯৭৬ ও ৬২৬টি বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কায়াহ, মান্দালয়-সহ একাধিক জায়গায় একই ঘটনা ঘটেছে। ওই সমস্ত জায়গায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে স্থানীয় মিলিশিয়াগুলি। ফলে প্রতিশোধ নিতেই এহেন কাজ করেছে বার্মিজ ফৌজ।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চলা প্রতিবাদ থামতেই এহেন অত্যাচার চালাচ্ছে টাটমাদাও বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে এক প্রতিবেদনে বিবিসি দাবি করে, ২০২১-এর জুলাই মাসে মধ্য মায়ানমারের সাগাইং প্রদেশের কানি শহর সংলগ্ন অন্তত চারটি গ্রামে গণহত্যা চালিয়েছিল বার্মিজ সেনা। যার ফলে শুধুমাত্র ওই চার এলাকাতেই মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জন সাধারণ মানুষের। বলে রাখা ভাল, কানি শহর বিদ্রোহীদের ঘাঁটি। ওই অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা মিলিশিয়াগুলিকে শাস্তি দিতেই গণহত্যা চালায় ‘টাটমাদাও’ তথা বার্মিজ সেনা। বিবিসি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াইন নামের একটি গ্রামে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষকে মারা হয়। সেখানে ১৪ জন গ্রামবাসীর উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে তাঁদের হত্যা করেছে ফৌজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.