সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘনিয়ে আসছে শেষ সময়। আরও ভয়ংকর হামলার পর গাজা দখল নেবে ইজরায়েল। এমনই হুঙ্কার দিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই মুহূর্তে কার্যত ‘মৃত্যুপুরী’ পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানি। হামাস-ইজরায়েল সংঘাতের বলি নিষ্পাপ শিশুরাও। এর মাঝেই আমেরিকা বলছে, খুব শীঘ্রই গাজার দখল নিয়ে নেবে। এবার নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি। তাহলে কি এবার ‘বন্ধু’ আমেরিকার সঙ্গে যৌথভাবে আরও ভয়ংকর অভিযানের নীল নকশা তৈরি করে ফেলেছে ইজরায়েল? উঠছে এমনই প্রশ্ন।
গোটা গাজাজুড়ে তীব্র হয়েছে খাদ্যের হাহাকার। রোজকার অতি প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করার জলের পাশাপাশি তীব্র অভাব পানীয় জলেরও। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। ইজরায়েলি সেনার অভিযানে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে আল শিফা, আল নাসেরের মতো একাধিক বড় বড় হাসপাতাল। ঘরছাড়া লক্ষ লক্ষ প্যালেস্তিনীয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করে ইজরায়েল। কিন্তু মার্চে সেই চুক্তি শেষ হতেই ফের পুরোদমে হামলা শুরু করে ইজরায়েলি সেনা। আন্তর্জাতিক মহলে একটাই প্রশ্ন, কবে থামবে এই লড়াই, কবে থামবে মৃত্যুমিছিল?
কিন্তু আজ সোমবার টেলিগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু জানান, “গোটা গাজা ভূখণ্ডের দখল নিয়ে নেবে ইজরায়েল। খুব শীঘ্রই আরও বড় অভিযানে নামব আমরা। ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। আর তাতে আমরা সাফল্যও পাচ্ছি। আমরা হাল ছাড়ব না, পিছিয়ে আসব না। আমরা আমাদের লক্ষ্যে জয় পাবই।” ফলে আন্তর্জাতিক মহলেও হাজারো নিন্দা, চাপেও দমছে না ইজরায়েল। আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালত তথা আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিও রুখতে পারছে না নেতানিয়াহুকে।
গত রবিবার ইজরায়েলের সামরিক অভিযানে মৃত্যু হয় ১৫১ জনের। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় ইন্দোনেশিয়ান এক হাসপাতাল ঘিরে অভিযান চলছে। এখানে একাধিক হামাস জঙ্গি ঘাঁটি গেড়েছে বলে দাবি ইজরায়েলের। একদিকে যখন এই অভিযান চলছে, ঠিক সেই সময় আন্তর্জাতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, অন্তত ৫ লক্ষ গাজাবাসী ভয়ংকর খাদ্য সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। অত্যন্ত গুরুতর অবস্থা আরও ১০ লক্ষের। ফলে নেতানিয়াহুর এই হুঙ্কারের পর গাজার শেষ পরিণতির কথা ভেবে আতঙ্কের প্রহর গুনছে আন্তর্জাতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.