সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস সবচেয়ে বেশি কামড় বসিয়েছেন আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটিতে। শুধুমাত্র টুইন টাওয়ারের শহরেই প্রায় ১২ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে COVID-19. লকডাউন করেও পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম দশা প্রশাসনের। এবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় রাশ টানতে এবং দ্রুত করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে ফার্মেসির দরজা খুলে যাচ্ছে নিউ ইয়র্কে। শহরের অন্তত ৫ হাজার ফার্মেসিকে COVID-19 পরীক্ষা করার অনুমতি দিলেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো। তাতে ফি দিন অন্তত ৪০ হাজার পরীক্ষা হওয়ার পরিকাঠামো রয়েছে।
গভর্নর কুয়োমো ঘোষণা করেছেন, বিভিন্ন ফার্মেসি এবং ডায়গনোস্টিক সেন্টারগুলি নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করতে পারে। এ ব্যাপারে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হল। এছাড়া চারটি হাসপাতালে অ্যান্টিবডি স্ক্রিনিং শুরু হচ্ছে। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষা হবে, তারপর সাধারণের। সম্প্রতি করোনা জর্জরিত নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ছে। একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। সেই কারণে প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষায় অগ্রাধিকার দিতে চেয়েছেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো। তাঁর মন্তব্য, “২১ দিনের লকডাউন মনে হচ্ছে বিশেষ কাজে এল না। আমরা আবার ২১ দিন আগের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছি।”
দেশের এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও অনেক প্রদেশই লকডাউন শিথিল করে ফেলছে। একবারই শুধু করোনার আক্রমণ নয়, দ্বিতীয়বারও ফের নতুন শক্তি নিয়ে নোভেল করোনা ভাইরাস থাবা বসাতে পারে, এই সতর্কবার্তাও তেমন সাবধানতা নেই এখানে। জর্জিয়া, ওকলাহোমা, আলাস্কায় চালু হচ্ছে বাণিজ্য ক্ষেত্র। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছে প্রশাসন। তবে সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনেই কাজ চলবে। শিথিল হওয়ার পরই বিভিন্ন সৈকতে ভিড় হতে পারে। এই আশঙ্কায় আগে থেকেই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, এখনই সমুদ্রতটে জমায়েত করা যাবে না। বন্ধ থাকবে সাঁতার, সার্ফিংও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.