সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর বেনজির পদক্ষেপ নিউজিল্যান্ডবাসীর। সৌহার্দ্য ও অহিংসার বার্তা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রকে বিদায় জানাল দেশটির মানুষ। স্বেচ্ছায় নিজেদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাতিয়ারগুলি তাঁরা তুলে দিল পুলিশের হাতে।
[আরও পড়ুন: ক্রাইস্টচার্চের বদলা! শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের দায় স্বীকার আইএসের]
গত মার্চ মাসের ১৫ তারিখ নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম অন্ধকার দিন। ওই দিনই ইউরোপের শান্তিপ্রিয় দেশটির দুটি মসজিদে হামলা চালায় এক শ্বেতাঙ্গ বন্দুকবাজ। নির্বিচার গুলিবর্ষণে প্রাণ হারান ৫০ জনেরও বেশি মানুষ। প্রকাশ্যে আসে ‘ইসলামভীতি’র এক ভয়াবহ দিক। তারপরই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে দাঁড়ায় ওই দেশের জনতা। অস্ত্র আইন আরও কড়া করে সরকার। পাশাপাশি স্বেচ্ছায় আগ্নেয়াস্ত্র ত্যাগ করার একটি স্কিমও শুরু করে সরকার। ওই প্রকল্পে, যাঁদের কাছে বন্দুক রয়েছে তাঁরা চাইলে সেগুলি সরকারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারেন। তবে বিনামূল্যে নয়। অস্ত্রগুলির দাম দেবে সরকারই। ইতিমধ্যেই এই প্রয়াসে অভিনব সারা মিলেছে বলে খবর। শুধুমাত্র ক্রাইস্টচার্চ এলাকাতেই পুলিশের কাছে নিজেদের অত্যাধুনিক পিস্তল, বন্দুক ও রাইফেল জমা করেছেন প্রায় ১৬৯ জন। এপর্যন্ত জমা পড়েছে প্রায় ২২৪টি অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র। দাম হিসেবে সরকার খরচ করেছে প্রায় ২ লক্ষ্য ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
কেন্টারব্যুরি অঞ্চলের পুলিশ প্রধান মাইক জনসন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত অস্ত্র জমা করার জন্য ৯০৩ জন নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। ফলে আগামিদিনে জমা পড়বে ১ হাজার ৪১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। দেশটির পুলিশমন্ত্রী স্টুয়ার্ট ন্যাশ বলেন, “সাধারণ মানুষের হাত থেকে বিপজ্জনক অস্ত্রগুলি সরাতেই এই পদক্ষেপ। এবং এতে বিপুল সাড়াও মিলেছে। অনেকেই স্বেচ্ছায় নিজেদের অস্ত্র জমা দিচ্ছেন।” ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর থেকেই একাধিক অ্যাসল্ট রাইফেল ও বন্দুক রাখায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। নির্দেশিকা জারি হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ওই ধরনের অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নিশানায় পশ্চিমবঙ্গ, জঙ্গিদের জন্য বাংলায় ‘আচরণবিধি’ প্রকাশ আল কায়দার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.