সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধু মুনের দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রমাণ করতে এবার নজির গড়ল কিমের দেশ উত্তর কোরিয়া। আলাদা নয়, উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায় সমগ্র বিশ্বের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে আরও একধাপ এগোল পিংয়ইয়ং। দক্ষিণের চেয়ে সময়ের নিরিখে ৩০ মিনিট পিছিয়ে থাকা উত্তর কোরিয়া বদলে ফেলল তাদের দেশের টাইম জোনকে। সমগ্র দেশের সময়কে ৩০ মিনিট এগিয়ে এনে দক্ষিণের কোরিয়ার সঙ্গে সমান করল কিম।
দীর্ঘ ৬৫ বছরের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে গত শুক্রবার কাছাকাছি এসেছিল উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। হাত মিলিয়েছিল দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মুন জে ইন। দুই দেশের সীমান্তে ডিমিলিটারাইজড জোনে অবস্থিত পানমুনজোমের পিস হাউসেই ঘটেছিল সেই ঐতিহাসিক ঘটনা। সেই বৈঠকেই দেশের দেশের টাইম জোনকে পুনর্গঠনের কথা দিয়েছিলেন কিম। বন্ধু মুন জে ইনকে দেওয়া সেই কথার মান রাখলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে কিম লক্ষ্য করেছিলেন পিস হাউসে দুই দেশের সময় দুরকম দেখাচ্ছে।দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে সময়ের নিরিখে ৩০ মিনিট পিছিয়ে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেশী দুই বন্ধু দেশের মধ্যে সময়ের পার্থক্য মেনে নিতে পারেননি উত্তর কোরিয়ায় সর্বাধিনায়ক। তখনই সিন্ধান্ত নেন দেশের টাইম জোন পুনর্গঠনের। শনিবার, সর্বসম্মত ভাবে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহডর দেয় উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্ট এবং শনিবার থেকেই কার্যকর হয় তা। পিয়ংইয়ংয়ের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে সিওল।
দুই প্রতিবেশী দেশে একই টাইম জোন ব্যবহার করছে এমন বিষয় বিশ্বে নতুন নয়। ভারত-চিন তাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একই টাইম জোন ব্যবহার করে থাকে। মহাদেশের পশ্চিমদেশে অবস্থান করেও ১৯৪২ থেকে স্পেন সেন্ট্রাল ইউরোপের টাইম জোন ব্যবহার করে আসছে। তবে, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ প্রতিবেশী দেশের চেয়ে নিজেদের টাইম জোনকে এক ঘন্টা এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখে। তবে এক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু ব্যতিক্রম। যেমন মায়ানমার তার প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডের চেয়ে নিজেদের টাইম জোনকে এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিট পিছিয়ে রেখেছে। নেপাল তার টাইম জোনকে ভারতের চেয়ে পনেরো মিনিট এগিয়ে রেখেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.