সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে তীব্র খাদ্য সংকট। আর তার প্রভাব পড়ছে খোদ দেশের শাসকের উপর! দিনদিন রোগা হচ্ছেন, কমছে ওজন। ইদানিং নাকি তাঁকে চেনাই দায়! বলা হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের (Kim Jong Un) কথা। সে দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিমের সাম্প্রতিক ছবিগুলি দেখে রীতিমতো তাজ্জব দেশবাসী। চেহারা ক্রমশ ভাঙছে তাঁর। আরও খবর, এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার (North Korea) শাসকের নির্দেশ, খাদ্য উৎপাদনে জোর দিতে হবে।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০২১ সালের শেষদিন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কিম জং উন। সাধারণত সামরিক ক্ষেত্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য তিনি এমন বৈঠকের ডাক দিয়ে থাকেন। কিন্তু শুক্রবার তিনি অন্য সুরে কথা বলেছেন। খাদ্য উৎপাদনের উপরে জোর দিয়েছেন শাসক। গত দেড় বছরে অতিমারীর কারণে অত্যন্ত কড়া বিধিনিষেধের মুখে পড়েছে উত্তর কোরিয়া। যার জেরে তীব্র খাদ্য সংকট (Food Crisis) তৈরি হয়েছে। তাই এদিন দলের বৈঠকে নতুন বছরকে ‘মরণ-বাঁচনের লড়াই’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। কিম বলেন, ”দেশের খাদ্য, বস্ত্র ও আবাসন সংকটের সন্ধানে আমাদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে হবে।” কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি সূত্রে এমনই।
কিম জং উনের এই বার্তার পর আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মত, এবার বাস্তব পরিস্থিতি বুঝছেন উত্তর কোরিয়ার ‘একনায়ক’। টের পাচ্ছেন, পরমাণু অস্ত্র (Nuclear Arselan)তৈরি বা রকেট উৎক্ষেপণ করে দেশকে শক্তিশালী প্রমাণের চেয়েও দরকারি খাদ্য। পেট না ভরলে যুদ্ধ করা যায় না। তাই আপাতত সামরিক শক্তিতে শান দেওয়া বন্ধ রেখে খাদ্য উৎপাদনে জোর দিতে চাইছেন। এর আগে অক্টোবর মাসে খাদ্য সংকটের সমাধান করতে গিয়ে কিমই দেশবাসীকে নিদান দিয়েছিলেন, ”আগামী ৪ বছর কম খান।” বলেছিলেন, ”কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাই খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় সকলের উচিত কম খাবার খাওয়া।” তবে একুশের শেষে আর তিনি তেমন অবাস্তব কথা বললেন না। বরং খাবার জোগানের দিকে জোর দিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.