সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উনের অমানবিক মানসিকতার কথা সারা বিশ্ব জানে। সম্প্রতি তাঁর আরেক কুকীর্তির কথা প্রকাশ্যে আনল আমেরিকার একটি সংস্থা কমিটি ফর হিউম্যান রাইটস ইন নর্থ কোরিয়া (Committee for Human Rights in North Korea)। উপগ্রহ চিত্র থেকে পাওয়া ছবি দেখিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণেরও চেষ্টা করেছে ওয়াশিংটনে অবস্থিত ওই মানবাধিকার সংস্থাটি। যদিও এই ধরনের অভিযোগের কথা মানতে চায়নি উত্তর কোরিয়া।
তাদের তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের মধ্যেই অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। ফলে প্রচুর মানুষ দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু, কিম জং উন (Kim Jong-un) -এর নির্দেশে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে কড়া নজরদারি চালানোর ফলে কারওই সেই ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না। উলটে ওই নাগরিকদের গ্রেপ্তার করে জোর করে শুয়োর পালনের কাজে লাগানো হচ্ছে। তাঁদের আধপেটা খেতে দিয়ে এতটাই পরিশ্রম করানো হচ্ছে যে কিছুদিনের মধ্যেই প্রাণ হারাচ্ছেন ওই মানুষগুলি । এরপর তাঁদের মৃতদেহগুলি মাটি চাপা দিয়ে জৈব সার তৈরি করে তা দিয়ে ফুল চাষ করা হচ্ছে।
মার্কিন ওই সংস্থার এক বিশেষজ্ঞ উপগ্রহ চিত্রটি বিশ্লেষণ করে দাবি করেছেন, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিংইয়ং থেকে ৩০ মাইল গূরে দ্য চংসান নামে একটি ক্যাম্প রয়েছে। সেখানেই দেশে ছেড়ে পালিয়ে যেতে চাওয়া নাগরিকদের আটকে রেখে অকথ্য অত্যাচার করছে কিম জং উনের প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ওই বন্দিদের দিয়ে জোর করে শুয়োর পালন করানো হচ্ছে। আর খেটে খেটে ওই মানুষগুলি মরে যাওয়ার পর তাঁদের মৃতদেহ মাটি চাপা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জৈব সার। যা পাঠানো হচ্ছে লাল রঙের আজালিয়া ফুলের বাগানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.