সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের পর পাকিস্তানেও করোনার বিষ ‘ছড়িয়ে’ রোষের মুখে পড়েছে তবলিঘি জামাত। অভিযোগ, প্রশাসনের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও মার্চ মাসে সে দেশে বার্ষিক সম্মেলন বা মারকাজ আয়োজিত করে ইসলামিক সংগঠনটি।
পাকিস্তানের প্রথম সারির দৈনিক ডন সূত্রে খবর, মার্চে মাসের ১০ তারিখ পাঞ্জাব প্রদেশের রায়উইন্ড এলাকায় মারকাজ বা সম্মেলনের আয়োজন করে তবলিঘি জামাত। সেখানএ অংশগ্রহণ করেন প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের ৪০টি দেশ থেকে আসা প্রায় ৩ হাজার মানুষ। তবে করোনা মহামারির জেরে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সে দেশে আটকে পড়েছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানে ৪ হাজার ১৯৬ জন মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। মরণ রোগের কবলে পড়ে প্রাণ দিতে হয়েছে ৬০ জনকে। এহেন পরস্থইটিতে কয়েকশো জামাতির শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই রায়উইন্ড শহরকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই শহরের ২ লক্ষ বাসিন্দার পরীক্ষা করা লালারসের নমুনা পরীক্ষা করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে বলে জন গিয়েছে। তবে পাকিস্তানের নড়বড়ে চিকিৎসা পরিকাঠামো আদৌ এহেন পদক্ষেপে সক্ষম কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকে ফেরা তবলিঘি জামাতের সদস্যদের ঘিরে গোটা দেশে ছড়িয়েছে করোনা ত্রাস। অসম-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে জামাতিদের শরীরে পাওয়া গিয়েছে মারণ রোগের জীবাণু। সরকার থেকে বারবার আবেদন করা হলেও অনেকেই আত্মগোপন করেছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের ৩০ শতাংশ জনসংখ্যা তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় সমাবেশে হাজির ছিল। ১৭ রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে এই আক্রান্তরা। সমস্ত বিধিনিষেধ শিকেয় তুলে বিপদ বাড়িয়ে তুলছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.