সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাক জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের হামলা। গোটা পৃথিবীর নজরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। এই পরিস্থিতিতে আজব কথা শোনা গেল পাকিস্তানের এক মন্ত্রীর মুখে। তিনি দাবি করলেন, পাকিস্তানে নাকি কোনও জঙ্গি শিবিরই নেই! যদিও সঞ্চালিকা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে থামিয়েও দিলেন। তাঁর পালটা যুক্তিতে বেকায়দায় পড়ে গেলেন মন্ত্রীমশাই।
ব্রিটেনের এক সংবাদ চ্যানেলে একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লা তারার দাবি করেন, ভারত সাধারণ পাকিস্তানিদের ‘টার্গেট’ করেছে। তখন সঞ্চালিকা ইয়ালদা হাকিম বলেন, ”ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, তারা কেবল জঙ্গি শিবিরগুলিকেই আক্রমণ করেছে। পাক সেনা শিবিরকে নয়।”
এর প্রতিক্রিয়ায় তারার বলে বসেন, ”একটা জিনিস পরিষ্কার করে দেওয়া দরকার। পাকিস্তানে কোনও জঙ্গি শিবিরই নেই। পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার। আমাদের পশ্চিম সীমান্তে আমরা জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করছি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা অগ্রণী দেশ। জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে ৯০ হাজার প্রাণ ধ্বংস হয়েছে আমাদের। অন্যদিকে ভারত আমাদের এখানে যখন জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক হল, নিন্দাটুকুও করেনি। কোনও রকমের উদ্বেগও প্রকাশ করেনি।”
এরপরই তাঁর কথার মাঝে কথা বলে ওঠেন হাকিম। তিনি বলেন, ”আমাদেরই অনুষ্ঠানে সপ্তাহখানেক আগে আপনাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্বীকার করেছিলেন যে, পাকিস্তান সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া, সমর্থন জোগানোর কাজ করে গিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেনা পাক তহবিলে আর্থিক সহায়তা কমিয়ে দেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, পাকিস্তান ডবল গেম খেলছে।”
এরপরই তিনি বলেন, ”কাজেই আপনি যা বলছেন, অর্থাৎ পাকিস্তানে কোনও জঙ্গি শিবির নেই- সেটা জেনারেল পারভেজ মুশারফ যা বলেছিলেন, বেনজির ভুট্টো যা বলেছিলেন এবং আপনাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক সপ্তাহ আগে যা বলছেন তার পরিপন্থী। কয়েকদিন আগে বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছিলেন সন্ত্রাসে আর্থিক মদত ও সমর্থন জোগানো পাকিস্তানের ইতিহাসের অংশ।”
এমন যুক্তির সামনে কার্যতই অসহায় তারার বলেন, ”৯/১১-র পরে পাকিস্তান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এখনও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা অগ্রণীই রয়েছি।” এরপর তিনি হাকিমকে পাকিস্তান পরিদর্শনে আসার আমন্ত্রণও জানান। জবাবে সঞ্চালিকা বলেন, ”আমি পাকিস্তানে গিয়েছি। আমরা জানি ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে লুকিয়েছিলেন।” এমন যুক্তির সামনে সেভাবে আর কথা খুঁজে পাননি তারার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.