সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : আবার অরল্যান্ডো। ফের রক্তপাত। ফ্লোরিডার এই শহরের এক কারখানায় বন্দুকবাজের হামলায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত হামলাকারীও । পুলিশের দাবি, এর সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও যোগ নেই। কাজ সংক্রান্ত গণ্ডগোলের জেরেই এই রক্তারক্তির ঘটনা।
[ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোরীকে বর্ণবৈষম্যের খোঁচা মার্কিন টেলিভিশনে]
বছরখানেক আগের আতঙ্ক ফিরল অরল্যান্ডোয়। গত বছরের ১২ জুন, অরল্যান্ডোর এক নাইট ক্লাবে বন্দুকবাজের এলোপাথাড়ি গুলি কেড়ে নিয়েছিল ৪৯ জনের প্রাণ। এবার খানিকটা একই কায়দায় সোমবার সকালে অরল্যান্ডোর শহরতলির এক শিল্পতালুকে ঢুকে পড়েছিল এক বন্দুকবাজ। ঢুকেই গুলিবৃষ্টি। প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে খবর ছিল অনেকের প্রাণহানি হয়েছে। পরে জানা যায় চারজনকে হত্যা করে হামলাকারী নিজেও মারা যায়। হামলার আশঙ্কায় অরল্যান্ডোর একাধিক নাইটক্লাব ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। গোটা শিল্পতালুক ঘিরে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলে যান এফবিআই-এর গোয়েন্দারা এবং স্থানীয় অরেঞ্জ কান্টির মেয়রব এবং শেরিফ। শেরিফ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তবে পুলিশের বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনও যোগ নেই। কাজ সংক্রান্ত গণ্ডগোলের জেরে গুলি চলে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।
[লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত বেড়ে ৭, পুলিশের গুলিতে নিকেশ ৩ জঙ্গি]
সন্ত্রাসবাদী হানা নিয়ে ইতিমধ্যেই লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কেন বারবার রক্তাক্ত হচ্ছে লন্ডন, সেই প্রশ্ন তুলে সাদিকের দক্ষতা নিয়ে সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইরের বিষয় নিয়ে চটজলদি প্রতিক্রিয়া দিলেও অরল্যান্ডোর ঘটনায় অবশ্য চুপ থেকেছেন ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বন্দুকের অপব্যবহার রুখতে না পারার জন্যই আমেরিকায় এত রক্তপাত। পরিসংখ্যান বলছে, আমেরিকায় প্রতি বছর সন্ত্রাসবাদী হামলায় যত জন মারা যান, তার থেকে কয়েক গুণ বেশি মানুষের মৃত্যু হয় দেশীয় বন্দুকে। ওবামা প্রশাসন চেষ্টা করেও পারেনি।আর শরণার্থী, এইচওয়ানবি ভিসা নিয়ে ল্যাজেগোবরে ট্রাম্পের এসব আর দেখার সময় কোথায়, এই বলেই কটাক্ষ করছে বিভিন্ন শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.