সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান (Taliban) নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ওসামা বিন লাদেনের ছেলে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মহলে উদ্বেগ বাড়িয়ে সম্প্রতি এমনটাই জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের এক রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, বিদেশি জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান।
সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশ্লেষণাত্মক সহায়তা ও নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত ২৯তম রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। বছরে দু’বার এই রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ। ইসলামিক স্টেট বা আল কায়দা-র মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টি পর্যালোচনা করার উদ্দেশ্যে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়। এবার সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে আল কায়দার প্রাক্তন প্রধান ওসামা বিন লাদেনের পুত্র। শুধু তাই নয়, লাদেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আমিন মহম্মদ উল-হক সাম খানও গত আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে নিজের বাড়িতে ফিরেছে। ফলে তালিবান ও আল কায়দার মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে তা স্পষ্ট বলে দাবি করা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে।
বিশ্লেষকদের মতে, আল কায়দার কাছে তালিবানের জয় এটা রীতিমতো ‘ড্রিমস কাম ট্রু। ৯/১১ পরবর্তী সময়ে এই প্রথম তারা নতুন করে অক্সিজেন পেল। সেই দু’দশক আগে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ভয়াবহতার রেশ কাটতে সময় নেয়নি। আফগানিস্তানের মাটিকে ব্য়বহার করেই হামলার ব্লু প্রিন্ট ছকা হয়েছিল। মার্কিন সেনার আফগানিস্তান আক্রমণের পরে সব কিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। তালিবান আধিপত্য হারায়। মারা যায় বহু তালিবান নেতা। একই অবস্থা হয়েছিল আল কায়দারও। ২০১১ সালে নিকেশ হয় খোদ লাদেন। পাশাপাশি দলীয় কোন্দল কিংবা আইএসের মতো আরও উগ্র জেহাদি গোষ্ঠীর দাপটে ধীরে ধীরে জমি হারায় আল কায়দা।
ঠিক এই মুহূর্তে কী অবস্থা আল কায়দার? আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সেনা সূত্র বলছে মেরেকেটে ৩০০ থেকে ৫০০-র বেশি আল কায়দা জঙ্গি এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে নেই। যা একেবারেই ধর্তব্যের মতো নয়। কিন্তু এবার মার্কিন সেনা হঠে যাওয়ার পরে এবং তালিবানরা এসে যাওয়ায় বিশেষত পূর্ব আফগানিস্তানে রাতারাতি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে আল কায়দা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.