ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসের আর্দশ মেনে নেকড়ের মতো একা নিউইয়র্কে গণহত্যা ঘটনার ছক কষেছিল। কিন্তু, তার আগে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক যুবক। ১৯ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম আওস চৌধুরি। বৃহস্পতিবার রাতে একটি দোকানে থেকে বিশেষভাবে তৈরি ছুরি, একটি মুখোশ, গ্লাভস ও মোবাইল ফোন বুকে ও মাথায় আটকে রেকর্ড করার স্ট্র্যাপ নিচ্ছিল সে। সেসময় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই জিনিসগুলি একটি অনলাইনে সংস্থার মাধ্যমে কেনার জন্য অর্ডার দিয়েছিল ধৃত।
তাদের অভিযোগ, নিউইয়র্কের কুইন এলাকায় আইএসের হয়ে হামলা চালানোর ছক কষেছিল সদ্য যৌবনে পাওয়া দেওয়া ওই যুবক। এবং সেই ঘটনা রেকর্ড করে ছড়িয়ে দিয়ে অন্য জেহাদীদের অনুপ্রাণিত করার পরিকল্পনা ছিল তার। কুইন এলাকার ফেয়ার মারিনা এবং গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল পার্কওয়ে থেকে ফ্লাশিং বে প্রোমনেড এলাকায় যাওয়ার একটি ফুটওভার ব্রিজকে টার্গেট করেছিল। এর জন্য কোন কোন জায়গায় বোমা ফাটালে সবচেয়ে বেশি মানুষ মরবে? কোন ধরনের ছুরিতে কাজ ভাল হবে। এই সব আইএসের কাছে জানতে চেয়েছিল সে। তার চাহিদা অনুযায়ী একটি ট্রেনিং ম্যানুয়ালও পাঠিয়েছিল কুখ্যাত ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা।
কিন্তু, বিষয়টি জানতে পেরে ছেলেটিকে অনুসরণ করতে শুরু করেন নিউইয়র্ক পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার সদস্যরা। তারপর এফবিআইয়ের নিউইয়র্ক জয়েন্ট টেরেরিস্ট টাস্ক ফোর্স(জেটিটিএফ)-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তল্লাশি শুরু করেন। আর তার জেরেই গ্রেপ্তার হয় ওই যুবক।
শুক্রবার ধৃতকে আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানান নিউইয়র্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল জন সি ডেমারস। তিনি বলেন, নিউ ইয়র্কে বড় ধরনের রক্তপাত ঘটানোর ছক কষেছিল ধৃত। এর ফলে আরও অনেকে আইএসে যোগ দেবে বলেই ধারণা ছিল তার। ধৃতকে জেরা করে বাকিদের সন্ধান করা হবে। তাই তাকে পুলিশের হেফাজতে পাঠানো হোক। তাঁর সওয়ালের ভিত্তিতে আওস চৌধুরির জামিনের আবেদন বাতিল করে তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এপ্রসঙ্গে নিউইয়র্ক পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা অসাধারণ কাজ করেছেন। হামলা চালানোর আগে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা ফলে অনেকের প্রাণ বেঁচেছে। আশাকরি ধৃত দোষী সাব্যস্ত হলে তার ২০ বছরের জেল হবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.