সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান। তারপরেই গত ৭ মে পাকিস্তানে থাকা সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করতে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। পাক সরকারের তরফেও পালটা বুনইয়ান উল মারসুস অভিযানের কথা ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু কী এই বুনইয়ান উল মারসুস? ইসলাম ধর্মগ্রন্থ কোরান থেকে নেওয়া ‘বুনইয়ান উল মারসুস’ একটি আরবি শব্দ। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় সীসার তৈরি দেওয়াল। কেন পাকিস্তান অপারেশনের এমন নামকরণ করল?
জানা যাচ্ছে, ইসলামাবাদ নিজেদের এক অভেদ্য দেওয়াল বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানে যে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি সেই বিষয়টি বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাইছে তারা। পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিজের দেশের নাগরিকদের সাহস জোগানোর জন্য এমন নামকরণ করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
কোরান থেকে অপারেশনের নামকরণ করার পিছনে পাকিস্তানের অন্য মতলব রয়েছে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমন নামকরণ করে পাকিস্তান মুসলিম দেশগুলির থেকে সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যুদ্ধের আবহে যেভাবে তুর্কির থেকে সাহায্য পেয়েছে পাক সরকার। ঠিক একই ভাবে সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো মুসলিম দেশগুলির সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর অভিযানে পাকিস্তান অধীকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে থাকা নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। এরপরই পাকিস্তানের তরফে বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারের সুযোগে পাকিস্তানের ড্রোন, মিসাইল হামলা প্রতিহত করেছে ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
এদিকে পাক সেনা বেছে বেছে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে আঘাত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ভারতীয় সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার চেষ্টা করতেই বেছে বেছে ধর্মীয় স্থানে হামলা চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। যদিও পাক সেনার সেই উদ্দেশ্য মাঝ আকাশেই নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা। এই আবহে ভারতের প্রতিঘাতের পালটা অপারেশনের ঘোষণা এবং ধর্মগ্রন্থ থেকে সেই অপারেশনের নামকরণ করা পাকিস্তানের নয়া কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.