Advertisement
Advertisement
Pakistan

৪৫০ কিমি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা, পহেলগাঁও আবহে দাবি পাকিস্তানের, যুদ্ধ কি আসন্ন?

শনিবার সকালে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা করা হয়েছে বলে দাবি পাকিস্তানের।

Pakistan claims it tested ballistic missile with 450 km range amid tension with India

ছবি: সংগৃহীত।

Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:May 3, 2025 3:33 pm
  • Updated:May 3, 2025 3:53 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৫০ কিমি পাল্লার শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এমনটাই দাবি পাকিস্তানের। সূত্রের খবর, এই ব্যালেস্টিক মিসাইলটির পোশাকি নাম ‘আবদালি ওয়েপন সিস্টেম’। শনিবার সকালে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা করা হয়েছে বলে দাবি পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যমের।  

পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোনমিয়ানি রেঞ্জে আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (এএসএফসি)-এর অধীনে ব্যালেস্টিক মিসাইলটির পরীক্ষা করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ শাহবাজ খান এবং মেজর জেনারেল শাহরিয়ার পারভেজ বাট।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, এই পরীক্ষাটির মূল লক্ষ্য ছিল সেনাদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং কার্যক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্রটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট যাচাই করা। শুধু তাই নয়, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ-সহ অন্যান্য সামরিক প্রধানরা সেনা বাহিনীর প্রস্তুতি এবং ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রযুক্তির উপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ‘এক্সারসাইস হিন্দু’-এই মিশনের আওতায় ক্ষেপনাস্ত্রটির পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এই মিশনটির ব্যাপারে আর কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরের গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন যুদ্ধ বিমান অবতরণ ও উত্তরণের মহড়া সেরেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এদিন সকালে ও রাতে দু’দফায় গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাঝে সাড়ে তিন কিলোমিটার লম্বা এয়ারস্ট্রিপে কান ফাটানো আওয়াজে ‘ল্যান্ড অ্যান্ড গো ফ্লাইপাস্ট’ করে বায়ুসেনার বিভিন্ন ফাইটার জেট, হেলিকপ্টার। রাফেল, সুখোই এসইউ ৩০ এমকেআই, বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক করা মিরাজ ২০০০, মিগ ২৯, জাগুয়ার, সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস, এএন ৩২, এমআই-১৭ হেলিকপ্টারও এদিন অংশ নিয়েছে মহড়ায়। যদিও পহেলগাঁও নাশকতার আবহে দেশজুড়ে যখন ওঠা শুরু হয়েছে যুদ্ধের জিগির, তখন এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। 

সরাসরি কিছু না বলেও পাকিস্তানকে যুদ্ধের বার্তা দেওয়া হল, এই কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার টিলা ফিল্ড অ্যান্ড ফায়ারিং রেঞ্জে হ্যামার স্ট্রাইক মহড়া করেছে পাকিস্তান সেনাও। যেখানে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির দিল্লির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “কোনওরকম সেনা অভিযান হলে, তার যোগ্য জবাব দিতে তৈরি ইসলামাবাদ।” তাহলে যুদ্ধ কি এবার আসন্ন? দু’দেশের বাতাসে এখন একটা প্রশ্নই ঘোরা ফেরা করছে। কিন্তু এখনই তার উত্তর দেওয়া কঠিন।     

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement