সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক সংকটের পরে এবার ফের সমস্যার মুখে পাকিস্তান (Pakistan)। জ্বালানির অভাবে প্রায় থমকে সেদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন। ফলে সারা দেশে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা এবং অন্যান্য জ্বালানি কিনতে পারছে না পাকিস্তান।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিও জ্বালানির (Fuel Crisis) অভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) ফলে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে, যার প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। পণ্য আমদানি, রপ্তানিতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে যুদ্ধের ফলে। জানা গিয়েছে, গত ন’মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এত ব্যয় করে জ্বালানি কেনার ক্ষমতা নেই পাকিস্তানের। এছাড়াও বেশ কিছু দেশের থেকে জ্বালানি আমদানি করার কথা ছিল পাক সরকারের। কিন্তু সেই দেশগুলিও প্রত্যাশা মতো জ্বালানি আমদানি করতে পারেনি।
পাক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়েছে জ্বালানির অভাবে। যদিও জানা গিয়েছে, মোট সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে, যা গোটা পাকিস্তানের বিদ্যুতের চাহিদার পাঁচ ভাগের এক ভাগ। পাকিস্তান খুবই ছোট দেশ। তাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডারও নেই। তাই জ্বালানির ক্ষেত্রে বিদেশের উপরেই সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরশীল পাকিস্তান।
কার্যত আঁধারে ডুবে রয়েছে পাকিস্তান। নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে এই সমস্যার মোকাবিলা করা অত্যন্ত বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও এই জ্বালানি সংকটের জন্য তিনি দায়ী করেছেন তাঁর পূর্বসূরি ইমরান খানকেই। তিনি বলেছেন, “দেশের লোডশেডিংয়ের সমস্যা হচ্ছে পূর্বতন সরকারের অব্যবস্থা এবং অপদার্থতার কারণে।” তিনি দাবি করেছেন, ইমরান খানের সরকার থাকাকালীন জ্বালানির দাম কম ছিল, কিন্তু সেই সময় জ্বালানি কিনে রাখা হয়নি। তার ফলেই জ্বালানির অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে পাকিস্তানে। যদিও তিনি আশ্বস্ত করেছেন, নতুন সরকার দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে যেন অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। প্রসঙ্গত, পাক মন্ত্রিসভায় এখনও জ্বালানি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কোনও মন্ত্রী নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.