সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘটা করে শুরু হয়েছিল খোঁজ। দেশের দৈন্য দশা এটিই নাকি ছিল ইমরান খানের মাস্টারস্ট্রোক। তবে শেষমেশ পর্বতের মূষিক প্রসব। পাক উপকূলে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডারের সন্ধান পাওয়া গেল না। রবিবার পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
[ফের আকাশে ডানা মেলতে চলেছে ‘অভিশপ্ত’ বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এইট বিমান]
করাচি উপকূলের কাছে আরব সাগরে প্রাকৃতিক জ্বালানির ভাণ্ডার খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই তেল ও গ্যাস ভাণ্ডারের উপর নির্ভর করেই চরম আর্থিক দুরবস্থা থেকে বের করে আনার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সেদিক থেকে তাঁর জন্য এটি একটি বড় দুঃসংবাদ। তেল বা গ্যাস ভাণ্ডারের সন্ধান না মেলায় করাচির কাছে গভীর সমুদ্রে কেকরা-১-এ খননকার্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রীর পেট্রোলিয়াম বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা নাদিম বাবর। উল্লেখ্য, বিখ্যাত মার্কিন তেল উৎপাদন সংস্থা এক্সোন মোবিল, ইতালির ইএনআই-সহ একাধিক সংস্থা খননকার্যে যুক্ত ছিল।
বাবর জানিয়েছেন, কেকরা-১ (ইন্ডাস জি-ব্লক)-এ প্রায় ৫ হাজার ৫০০ মিটারেরও বেশি খননকাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে মেলেনি জ্বালানির সন্ধান। পরিত্যক্ত এই খনন প্রকল্পের জন্য ১০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে। উল্লেখ্য, গত মার্চেই ইমরান খান ঘোষণা ছিলেন যে পাকিস্তানকে আর তেল আমদানি করতে হবে না। কারণ, করাচি উপকূলের কাছেই গভীর সমুদ্রে তৈলভাণ্ডারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রায় ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। চিন, সৌদি আরবের মতো হাত পাততে হয়েছে ইমরান খানকে। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। প্রাক্তন সরকারের সমালোচনা করলেও এবার খোদ ‘আইএমএফ’ বা ইন্টারন্যাশনাল মনেটারি ফান্ড-এর কাছে থেকে লোন নিচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। আপাতত পাকিস্তানকে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ দিতে চলেছে আইএমএফ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএমএফ থেকে লোন নিলেও সমস্যা মিটবে না। কারণ পাকিস্তানের রাজস্ব ঘাটতি বেড়েই চলেছে। ফলে ঘাটতি পূরণ করতে সরকারকে কর বাড়াতে হবে, বা সরকারি প্রকল্পে ব্যয় কমাতে হবে। সব মিলিয়ে ইমরান খানের জন্য খুব সুখের খবর আপাতত নেই।
[ট্রাম্পের নতুন নীতি, গ্রিন কার্ডের বদলে এবার মেধার ভিত্তিতে ভিসা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.