সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী স্তরের বৈঠকে উঠল কাশ্মীর প্রসঙ্গ। এবং প্রত্যাশামতোই কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদের সুরেই সুর মিলিয়েছে বেজিং। সরাসরি ভারতের নাম না করলেও দুই পড়শি দেশের উদ্দেশ্য যে সাধু নয় তা স্পষ্ট। কাশ্মীর ছাড়াও দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে আফগানিস্তান নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
সম্প্রতি পাকিস্তানে জঙ্গিদের হামলায় মৃত্যু হয় নয় চিনা ইঞ্জিনিয়ারের। তারপর থেকেই সন্ত্রাসবাদীদের উপর লাগাম টানতে ইসলামাবাদের উপর চাপ তৈরি করেছে বেজিং। পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে চিনে গিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফইজ হামিদ। শনিবার চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে বসেন কুরেশি। তারপর এক যৌথবিবৃতিতে তাঁরা জানান, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী দক্ষিণ এশিয়া সব দেশের সাধারণ স্বার্থে জরুরি। তবে মুখে যাই বলুন না কেন, ভারতকে ঘিরে ফেলতে ইসলামাবাদ ও বেজিং যে তৎপর তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, কারণ বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের পরে এক যৌথ বিবৃতিতে ভারতের নাম না-করে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে একতরফা ভাবে কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয়। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে রাষ্ট্রসংঘের গৃহীত প্রস্তাব মেনেই। এছাড়া, আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা হয় কুরেশি ও ওয়াংয়ের মধ্যে। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে ভারতকে কোণঠাসা করতেই এই আলোচনা।
উল্লেখ্য, আমেরিকা, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার তৈরি ‘কোয়াড’-এর পালটা আরও এক ‘কোয়াড’ আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ইরানের এই চতুর্ভুজের প্রথম দু’জন বহু বছর ভারতের মিত্র নয়। শেষ দু’জন আমেরিকার জন্য ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে। ফলে আফগানিস্তানে লগ্নি ও দেশের স্বার্থ রক্ষা করা নয়াদিল্লির পক্ষে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে কাশ্মীর নিয়ে চিন ও পাকিস্তানের বৈঠকে অশনি সংকেত দেখছে সাউথ ব্লক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.