ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দিন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের জীবন। প্রায় প্রতিদিনই হিন্দু পরিবারের মেয়েদের অপহরণের পর জোর করে ইসলাম (Islam) ধর্ম গ্রহণ করানো হচ্ছে। তারপর তাঁর বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোনও মুসলিমের সঙ্গে। রবিবারও এই ধরনের একটি ঘটনার খবর পাওয়া গেল। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও নির্বাক পাকিস্তানের প্রশাসন। মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া তো দূরে থাক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করাচি থেকে ২১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিন্ধুপ্রদেশের মাটিয়ারি জেলার হালা শহরের বাসিন্দা কিশোর দাস। সম্প্রতি তাঁর মেয়ে ভারতী বাইয়ের বিয়ে একটি হিন্দু ছেলের সঙ্গে দিচ্ছিলেন। কিন্তু, বিয়ের দিন আচমকা একদল দুষ্কৃতী ও কয়েকজন পুলিশকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় শাহরুখ গুল নামে ২৪ বছরের এক যুবক। তারপর সবার সামনে বিয়ের পিঁড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়ে বিয়ে করে। মেয়েটির পরিবারের লোকেরা বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কেউ কোনও গুরুত্ব দেয়নি।
এদিকে ওই হিন্দু যুবতীকে তুলে নিয়ে যাওয়া পর তাঁর ধর্মান্তরিত হওয়ার ও শাহরুখ গুলকে বিয়ে করার কাগজপত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা হয়। তাতে নাকি উল্লেখ রয়েছে যে ২০১৯ সালের পয়লা ডিসেম্বর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন ভারতী। তারপর তাঁর নাম হয়েছ বুশরা। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর শাহরুখ গুলকে বিয়ে করেছেন তিনি। কিন্তু, ভারতীর বাবা সেই বিষয়টি অস্বীকার করে অন্য এক হিন্দু ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছিল। তাই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে নিজের স্ত্রীকে উদ্ধার করে শাহরুখ।
যদিও এই কথা মানতে নারাজ মেয়েটির বাবা কিশোর দাস-সহ ওই শহরে বসবাসকারী হিন্দুরা। তাঁদের অভিযোগ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীরের মুসলিমদের দুরবস্থা নিয়ে বারবার বিশ্বের সামনে মুখ খোলেন। ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমরা শান্তিতে নেই বলেও অভিযোগ জানান। কিন্তু, পাকিস্তানে যে হিন্দু মহিলারা প্রতিনিয়ত ধর্ষিতা বা অপহৃত হচ্ছেন তা তিনি দেখেও দেখেন না। উলটে তাঁর মদতেই প্রতিদিন অত্যাচারের শিকার হচ্ছে হিন্দুরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.