সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে বারবার শিরোনামে আসছে ভারত-পাক সম্পর্ক। কখনও পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রেগে গিয়ে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের কথা বলছেন। তো কখনও তাঁর মন্ত্রিসভার মন্ত্রী বলছেন, যুদ্ধ তো একটা লাগবেই। তিনি আবার যুদ্ধের সময়ও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। অক্টোবর, নভেম্বর মাস নাগাদ দু’দেশে যুদ্ধ লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ।
৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর এই রশিদ আহমেদই বলেছিলেন, “আমি রেলমন্ত্রী থাকতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনও ট্রেন চলবে না।” তার পর ধীরে ধীরে বন্ধ হয় সমঝোতা এক্সপ্রেস। বাতিল হয় থর এক্সপ্রেস। বন্ধ হয় ‘দোস্তি’ বাস পরিষেবাও। এ বার সেই পাক রেলমন্ত্রীই কার্যত ভারত-পাক যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিলেন। বুধবার রাওয়ালপিন্ডিতে রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, “অক্টোবর-নভেম্বরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হবে।” এবার শুধু এখানেই থেমে থাকেননি রশিদ। আরও এককাঠি এগিয়ে গিয়ে বলেন, “এটাই হবে দু’দেশের মধ্যে শেষ যুদ্ধ।” ইমরানের ক্যাবিনেট মন্ত্রী কীভাবে ভবিষ্যৎ বলে দিচ্ছেন, সে নিয়ে হাসির রোল ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রসঙ্গত, ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যদা তুলে নেয় পাঁচ আগস্ট।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? রাওয়ালপিন্ডিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রশিদ বলেন, “অক্টোবরের শেষে এবং নভেম্বরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ দেখতে পাচ্ছি। তার জন্য দেশকে তৈরি করছি। মোদিকে চিনতে অনেক বড় বড় নেতা ভুল করেছেন, কিন্তু আমি ভুল করিনি।” রশিদ আরও প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের এই ফ্যাশিস্ত সরকারকে দেখে সারা বিশ্ব কীভাবে চুপ করে বসে আছেন? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর থেকে মাঝে মধ্যেই গরম গরম মন্তব্য করে দু’দেশের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলতে চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
রশিদ বুধবার বলেন, “২৫ কোটি মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তাই সমস্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সরিয়ে কাশ্মীরের দিকে হাত বাড়াতে হবে আমাদের, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে। না হলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.