সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়দাতা পাকিস্তান। পাক ভূখণ্ড সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য। কার্যত এভাষাতেই নওয়াজ শরিফ প্রশাসনকে বিঁধল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাক মদতে লস্কর, জইশের মতো সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত। মার্কিন কংগ্রেসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এই রিপোর্ট নওয়াজ শরিফের মাথাব্যথা বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। পাঠানকোটের মতো ঘটনায় কীভাবে ভারত নাশকতার শিকার হয়েছিল, তাও তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে।
ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির যৌথ বিবৃতি ইঙ্গিত দিয়েছিল। বেনজিরভাবে দুই রাষ্ট্রপ্রধান সন্ত্রাসবাদের প্রশ্রয়ের জন্য একযোগে নিশানা করেছিলেন পাকিস্তানকে। এবার মার্কিন কংগ্রেসে পেশ হওয়া সন্ত্রাসবাদ নিয়ে রিপোর্টে স্পষ্ট পাক প্রশাসনের মদতে সন্ত্রাসের এই বেলাগাম। সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তে নওয়াজ শরিফ প্রশাসনকে কার্যত কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগান তালিবান বা হাক্কানি জঙ্গিদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান। যার ফলে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। পাক সেনা এবং গোয়েন্দাদেরা সঙ্গে একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগসাজশ রয়েছে। লস্কর, জইশের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পাক ভূখণ্ড ব্যবহার করে দিব্যি সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকী লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করে। রাষ্ট্রপুঞ্জ হাফিজকে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার পরও, তার চলাফেরায় কেন নিয়ন্ত্রণ হয়নি তা নিয়ে রিপোর্টে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি আলাদা একটি অধ্যায়ে বলা হয়েছে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য।
প্রতিবেশীর সন্ত্রাসের শিকার জম্মু-কাশ্মীর। ভারতের দীর্ঘদিনের অভিযোগ স্বীকৃতি পেয়েছে সন্ত্রাস রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতের পাঠানকোটে জঙ্গি হানা হয়। এর পিছনে রয়েছে প্রতিবেশী দেশের হাত। আল কায়দা, আইএস, লস্কর, জইশ, দাউদের ডি কোম্পানি দুই দেশের পক্ষে বিপদ। সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে ভারত ও আমেরিকা একসঙ্গে কাজ করবে। মার্কিন রিপোর্টে পাকিস্তানের ভূমিকার তুলোধনা করা হলেও, এপর্যন্ত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তেমন কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি শরিফ প্রশাসন। লস্করকে পাকিস্তান নিষিদ্ধ করলেও জামাত, ফালাহ-ই-ইনসানিয়তের মতো সংগঠনগুলি রাজধানী ইসলামবাদ-সহ একাধিক জায়গায় প্রকাশ্যে অর্থ সংগ্রহ করছে বলে রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ হয়েছে। মার্কিন গুঁতো পাকিস্তান কীভাবে নেয় তা অবশ্য জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এই চালে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়লেন নওয়াজ শরিফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.