ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যা বিপর্যস্ত পাকিস্তানে (Pakistan) গণধর্ষণের শিকার এক হিন্দু যুবতী। ত্রাণ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাঁকে টানা দু’দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বেশ কিছুদিন ধরেই পাকিস্তানে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে হিন্দুদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী আয়েষা ওমর।
জানা গিয়েছে, ত্রাণসামগ্রী নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন ওই যুবতী। সেই সময়েই এক অটোচালক তাঁকে ত্রাণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ওই যুবতী জানিয়েছেন, তাঁকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জল খেতে দিয়ে চলে যায় অভিযুক্ত অটোচালক। সেই জল খেয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়েন যুবতী। তারপর টানা দু’দিন তাঁকে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়। আপাতত ওই যুবতীর (Pakistani Hindu) শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
একটি এনজিওর মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়। ইতিমধ্যেই খালিদ নামে ওই অটোচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি ভিডিওতে ওই যুবতী বলেছেন, “খালিদ আমাকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে দেয়। তারপরে আমাকে ধর্ষণ করে। খালিদের সঙ্গে দিলশার নামে আরেক ব্যক্তিও ছিল। আমাকে ধর্ষণ করার পরে ওই বাড়িতেই আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও অভিযোগ উঠেছিল, ত্রাণ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করা হচ্ছে পাক মহিলাদের।
এহেন ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আয়েষা ওমর। ইনস্টাগ্রামে এই খবরটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “পাকিস্তানে এরকম ঘটনা ঘটছে। নির্লজ্জতার কি কোনও সীমা রয়েছে? শুধুমাত্র লুটপাট আর অত্যাচার করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর। সমাজের প্রতিটি স্তরেই এমন ঘটনা ঘটছে। আমি সত্যিই জানি না এই বিষয়ে কী ভাবা উচিৎ। আমরা কীভাবে এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারি? প্রত্যেকদিন বসে বসে আমি এই কথা ভাবি। একজন পাকিস্তানি মহিলা হিসাবে আমি কী করতে পারি, যাতে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়?” বন্যার (Pakistan Flood) ফলে পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই সর্বস্ব হারিয়ে বিপদে পড়েছেন বহু মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.