সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে পড়া পারেনি। এটাই ছিল তার ‘অপরাধ’। তার জেরে শিক্ষকের কিল, লাথি, ঘুসিতে প্রাণ গেল এক কিশোরের। অমানবিক অত্যাচারে বন্ধুর মৃত্যুতে মাথার ঠিক রাখতে পারেনি তার সহপাঠীরা। প্রতিবাদে স্কুলে আগুন লাগিয়ে দেয় বন্ধুরা। এই ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েকজন নাবালককে আটক করেছে।
পাকিস্তানের বাসিন্দা হাফিজ হুনান বিলাল নামে দশম শ্রেণির ওই ছাত্র আর পাঁচদিনের মতো শনিবারও স্কুলে গিয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়মতো ক্লাসও শুরু হয়। শিক্ষক পড়া ধরতে শুরু করেন। তবে বিলাল পড়া বলতে পারেনি। তাতেই বেজায় চটে যান শিক্ষক। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে তাকে। অন্যান্য ছাত্রদের দাবি, বিলালের পেটে ঘুসি মারে শিক্ষক। দেওয়ালে খুব জোরে মাথা ঠুকে দেওয়া হয় তার। পিঠেও কিল মারা হয় ওই ছাত্রটির। দীর্ঘক্ষণ ধরে অমানবিক অত্যাচারে অচৈতন্য হয়ে পড়ে বিলাল। স্কুলের ভিতরই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। তড়িঘড়ি ওই ছাত্রের বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। পরিজনেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অচৈতন্য অবস্থায় বিলালকে উদ্ধার করে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তবে চিকিৎসকরা জানান, ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। মারা গিয়েছে বিলাল।
তবে পুলিশি আশ্বাসে ক্ষোভের আগুন প্রতিহত করতে পারেননি পুলিশ আধিকারিকরা। মারধরের জেরে বিলালের মৃত্যুর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ তার সহপাঠীরা। শনিবার স্কুলে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। ছাত্রদের লাগানো আগুনের জেরে স্কুলের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে কিছু নথিপত্র। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজন ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। বিলালের মৃত্যুর প্রতিবাদে টুইটও করেন তাঁর পরিজনেরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
My 17 year old cousin was brutally beaten to death by his teacher at American lycetuff school (a thread)
— Rimsha Naeem (@badgirlrimi) September 5, 2019
দশম শ্রেণির ওই ছাত্রের কাকার অভিযোগ, স্কুলে অতিরিক্ত অত্যাচারের জেরে মৃত্যু হয়েছে বিলালের। স্থানীয় থানায় লাহোরের ওই স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে নিহত ছাত্রের পরিজনেরা। ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা। ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই আশ্বাস দেয় পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.