সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিপাকে ইমরান খানের মন্ত্রিসভা। দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং নির্বাচন কমিশনকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার দায়ে মন্ত্রিত্ব গেল পাকিস্তানের (Pakistan) জলসম্পদ মন্ত্রীর। এমনকী, এতদিন ধরে যে বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা তিনি নিয়েছেন, তা দু’ মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বিরোধীদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তানের শাসকদল তেহরিক-ই-ইনসাফ।।
২০১৮ সালে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের হয়ে করাচি কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন ফয়জল ভাওদা। সেই বছর ১১ জুন জমা দেওয়া মনোনয়ন পত্রে নিজের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় পাকিস্তানের পাশাপাশি আমেরিকার নাগরিকত্বও ছিল তাঁর। ২০২০ সালে এক সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তার পর থেকেই বিতর্কে জড়িয়েছেন ভাওদা। ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনে এ সংক্রান্ত শুনানি ছিল। সেখানে ভাওদাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
কমিশন তাঁর মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেয়। পাশাপাশি কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাকে বেতন ও অন্যান্য সুবিধা ফিরিয়ে দিতে হবে। উল্লেখ্য, এরকম কিছু হতে পারে তা আগেভাগেই আঁচ করেছিলেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ ভাওদা। তাই গত মার্চে মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। বদলে সেনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়। কিন্তু নাগরিকত্ব গোপন করায় তার সেনেটর পদও বাতিল করল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
ভাওদার নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে কমিশনরে দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাকিস্তানের বিরোধী দল পিপলস পার্টির নেতা কাদির খান। এদিন তিনি বলেন, ভাওদার জনপ্রতিনিধি পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত বিচারব্যবস্থার জয়। তোতাপাখি সরকারের প্রথম ঘুঁটি পড়ল।” যদিও এসব নিয়ে একেবারেই বিচলিত নয় ইমরান সরকার। তাদের তরফে তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, “এই নির্দেশে সরকারের কোনও সমস্যা হবে না। আর এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতেই পারেন ভাওদা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.