সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু ভিড়ের মাঝে সেই চেনামুখ খুঁজে পাওয়াই তো চিরন্তন প্রেম। প্রকৃত প্রেমিক আপন অন্তরের চোখ দিয়ে তা খুঁজে নেন। আর তারপর, সময় হারিয়ে যায়। থেকে যায় অখণ্ড সময় থেকে খসে পড়া দু,একটি মুহূর্ত। ঠিক এমনই এক রূপকথার ছোটগল্প তৈরি হল ফ্রান্সের বিয়ারিৎজে, জি-৭ সম্মেলনের মঞ্চে।ইতিমধ্যেই সেই প্রেমের ছবির ফ্রেম নেটদুনিয়ায় আলোড়ন তুলেছে। যুগলের একে অপরের চোখে চোখ রাখা যারাই প্রত্যক্ষ করেছেন, তারা দ্বিতীয়বার ছবিগুলো না দেখে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ছাড়তে পারছেন না।
এ গল্পের নায়ক-নায়িকা আমার, আপনার মতো সাধারণ কেউ নন। তাঁরা রাজা-রানি। একজন দেশ চালান, আরেকজন দেশপ্রধানের ঘরনি। দুজনে দুই পাশাপাশি দেশের। তাই এমনিতেই দূরত্ব এমন কিছু নয়। সীমান্তের এপার আর ওপার। তাঁরাই মিলিত হলেন নিজেদের দেশ থেকে বহু দূরে, বিস্কে নদীর তীরে সৈকত শহরে। যেখানে হাইপ্রোফাইল আলোচনা চলছিল। তারই মাঝে কাছাকাছি চলে এলেন ট্রাম্প ঘরনি মেলানিয়া আর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। রাষ্ট্রপ্রধানদের হাজারও রুক্ষশুষ্ক বিষয় নিয়ে আলোচনার মাঝে দুজনে ভেসে গেলেন প্রেমের জোয়ারে।
রবিবার ছিল জি-৭ সম্মেলনের শেষ দিন। ওইদিন সাত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সপরিবারে ফ্রেমবন্দি হওয়ার পালা। একইমঞ্চে জীবনসঙ্গীদের নিয়ে পরপর দাঁড়িয়েছেন সকলে। যথারীতি পাশ্চাত্য রীতি আর আন্তর্জাতিক সৌজন্য মেনে বৃদ্ধস্য ট্রাম্পের তরুণী ভার্যা মেলানিয়ার হাতটি ধরা স্বামীর হাতেই। মেলানিয়ার পাশেই দাঁড়িয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সাতচল্লিশের সৌম্যকান্তি ‘তরুণ’। একে অপরের চোখে চোখ পড়তেই যেন সে এক ভিন্নতর জগৎ…যেন চারপাশ সমস্ত শূন্যে বিলীন, আছেন কেবল মেলানিয়া আর ট্রুডো। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে ট্রুডো এবং মেলানিয়া একে অপরের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের মধ্যেও যে প্রেমের ছোঁয়া, তা নজর এড়ায়নি কারোরই। টকটকে লাল গাউন, কাজলকালো চোখ আর ঈষৎ গোলাপি ঠোঁটের ইশারা যেন কিছুতেই ফেরাতে পারছেন না তিন সন্তানের বাবা জাস্টিন।
ফটো সেশনের মাঝেই যখন এঁরা একে-অপরকে খুঁজে নিচ্ছেন ভিন্নতর দৃষ্টিতে, তখন মেলানিয়ার স্বামী ডোনাল্ডের কী অবস্থা ভাবুন! বিশ্বের এক নম্বর দেশের প্রধান তিনি। সবচেয়ে ক্ষমতাশালী। এহেন দৃশ্যে তাঁর অহংয়ে ভীষণ ধাক্কা লাগার কথা। হয়ত হলও তাই। ছবিতে দেখা গেল, ট্রাম্পের চোখ মাটিতে। শুধু কি এই ছবিতেই? পরবর্তীতে তাঁর কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল জানা নেই। কিন্তু মঞ্চের এই দৃশ্য গোটা বিশ্বের কাছেই একটা ছবি হয়ে রইল।
অনেকে অবশ্য বিপরীত কথাও বলছেন। ছবির ফ্রেমকে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে বলেও সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ। কারও মতে, হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্বদের অন্দরে উঁকি দিয়ে অন্য কোনও রসের সন্ধান করা অতি নিম্নরুচির পরিচয়। প্রতিক্রিয়া যেমনই হোক, মেলানিয়া-জাস্টিনের যুগলবন্দি যে বেশ আকর্ষণীয়, তা বলাই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.