সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রং মানেই শুধু সাদা-কালো নয়। ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বুঝিয়ে দিল লন্ডন। একসময় সাম্রাজ্যবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে নয়া অধ্যায় রচনা করে এক আহত শ্বেতাঙ্গকে কাঁধে করে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিলেন এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। আর এক চিত্রসাংবাদিকের ক্যামেরায় বন্দি হয়ে সেই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়।
ঘটনাটি গত শনিবারের, বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে মিছিল ও পালটা মিছিলে সরগরম ছিল লন্ডন (London)। পেশার খাতিরে সেখানে ক্যামেরা হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ‘রয়টার্স’-এর (Reuters) চিত্রসাংবাদিক ডিলান মার্টিনেজ। বেলা বাড়ার সঙ্গে ক্রমেই প্রতিবাদী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় তুমুল মারামারি। এমন সময় ডিলান দেখেন, এক আহত শ্বেতাঙ্গ যুবককে কাঁধে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে আসছেন এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেরই দাবি, ব্রিটেনের এক দক্ষিণপন্থী দলের সমর্থক আহত ওই শ্বেতাঙ্গ যুবক। যদিও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনায় ১১৩ জনেক গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ২৪ জন পুলিশকর্মী।
এদিকে, ডিলান মার্টিনেজের ছবিটি প্রকাশ্যে আসতেই বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায় নেটদুনিয়ায়। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে এই একটি ছবিই কাফি বলে অভিনন্দন জানান নেটিজেনরা। অনেকে বলছেন, ‘যেখানে রং মানেই সাদা-কালো নয়, সেই শহর লন্ডন।’ উল্লেখ্য, মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাঁটুর চাপে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের (George Floyd)। তারপরই প্রতিবাদের আগুনে জ্বলে উঠে আমেরিকার প্রায় সবগুলি প্রদেশ। তাঁর আঁচ লাগে ইউরোপেও। অনেক ক্ষেত্রেই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে হোয়াইট হাউসের গোপন বাঙ্কারে লুকোতে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। এহেন সঙ্কটে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র সুরক্ষায় ন্যাশনাল গার্ডের পাশপাশি ফৌজ মোতায়েন করার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। যদিও চাপে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.