সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মুলুকে হেনস্তার শিকার এক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা৷ সরকারি অফিসের মধ্যে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি মহিলার কোলের শিশুকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ৷ নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশের৷ এই ঘটনার ভিডিওই আপাতত নেটদুনিয়ায় ভাইরাল৷ উর্দিধারীদের এহেন অমানবিক কাজের সমালোচনায় সরব নেটিজেনরা৷
ঘটনাটি গত শুক্রবারের। নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের একটি সরকারি অফিসে গিয়েছিলেন জ্যাসমিন হেডলি নামে ওই তরুণী। সঙ্গে ছিল তাঁর এক বছরের ছেলে। দরিদ্র হওয়ায় সরকারি সাহায্য যাঁদের প্রয়োজন তাঁরাই সাধারণত ওই সরকারি অফিসটিতে যান৷ অফিসে তখন এত ভিড় যে ওই তরুণী ফাঁকা কোনও চেয়ার পাননি। ফলে তিনি মেঝেতেই ছেলে কোলে নিয়ে বসে পড়েন। এরপরই শুরু হয় ঝামেলা। ওই অফিসের এক কর্মী এসে তরুণীকে উঠে যেতে বলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় তর্কাতর্কি শুরু হয়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ৷ জ্যাসমিনকে জোর করে তুলে দিতে চেষ্টা করেন আধিকারিক। কোলের সন্তানকেও কেড়ে নেওয়া হয়। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কৃষ্ণাঙ্গ ওই তরুণী মারের চোটে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন৷ অসহায় মা পুলিশের আক্রমণ প্রতিহত করারও চেষ্টা করেন৷ পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছেন, কাঁদছেন তিনি৷ কিন্তু তাঁর কান্নায় মন গলল না পুলিশের৷ গায়ের জোর দেখিয়ে পুলিশ তাঁকে অত্যাচার করেই চলে৷
ওই অবস্থার ভিডিও তোলেন সেখানে উপস্থিত থাকা একজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিনিট দুয়েকের এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে৷ অন্তত দু’লক্ষ মানুষ দেখেছেন ভিডিও। শেয়ারও হয়েছে অজস্র। নিন্দার ঝড় বইয়ে দিচ্ছেন নেটিজেনরা। তরুণী কৃষ্ণাঙ্গ বলেই কি এই হেনস্তা, এমন প্রশ্নও করেন সকলে৷ কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটাই নাকি আমেরিকার আসল রূপ, একথাও বলেছেন কেউ কেউ। চাপে পড়ে ঘটনার তদন্ত করছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.