সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মগুরু তো তিনি বটেই! আদতে, পদাধিকারে খ্রিস্ট ধর্মের সর্বেসর্বাও!
সন্দেহ কী, ধর্মীয় সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে প্রতি নিয়ত উদাহরণ স্থাপন করে চলা তাঁকেই মানায়! যেমন, কিছু দিন আগেই তো ক্যাথলিক সমাজের ‘গেল, গেল’ রবকে তাচ্ছিল্য করে তিনি সমীক্ষার ভিত্তিতে উপদেশাবলী প্রস্তুত করেছেন প্রেম এবং যৌনতা নিয়ে।
এবার আরও সাহসী স্বর শোনা গেল পোপ ফ্রান্সিস-এর বক্তব্যে। স্পষ্ট জানালেন তিনি, ”চার্চের সমকামীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত!”
হঠাৎ কেন চার্চ এবং সমকামীদের নিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য পোপের?
আসলে, মানবিকতাই এই মানুষটির মূল চারিত্রিক সুর! সেই সুরের অনুরণন শোনা গিয়েছিল তখন, যখন ক্যাথলিক খ্রিস্ট সমাজের তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও সমকামিতাকে মানুষের স্বাভাবিক অধিকার বলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন পোপ। মুক্ত কণ্ঠে জানিয়েছিলেন, ধর্ম যা-ই বলুক, সমকামিতা অন্যায় বা পাপ- কোনওটাই নয়!
এবার সেই বক্তব্যেরই দ্বিতীয় কিস্তি ধরা দিল পোপের কথায়! তিনি বললেন, ”চার্চের সমকামীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত! এত দিন ধরে তাঁদের দূরে রেখে, তাঁদের জীবনযাপনকে সম্মান না দিয়ে চার্চ অত্যন্ত অন্যায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ধর্ম কখনই পক্ষপাত দেখাতে পারে না। ধর্মের কাছে প্রত্যেকটি মানুষই সমান!”
তবে, শুধুই সমকামী নয়! চার্চ যে সব প্রান্তিক মানুষকেও এত দিন পর্যন্ত সম্মান দেয়নি, তাদের কাছেও ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন পোপ। বলেছেন, ”চার্চের প্রান্তিক নারী, শিশু শ্রমিক এবং অন্য দুঃস্থ মানুষদের কাছেও ক্ষমা চাওয়া উচিত। কেন না, এত দিন পর্যন্ত চার্চ এঁদের শুধু ব্রাত্য করেই রাখেনি, তাঁদের সমস্যা সমাধানেও কোনও উদ্যোগ নেয়নি!”
স্বাভাবিক ভাবেই পোপ ফ্রান্সিসের এই উক্তিতে প্রায় তড়িদাহত ক্যাথলিক খ্রিস্ট সমাজ। পাশাপাশি, অনেক ধর্মযাজকই সমর্থন করেছেন পোপকে। দেরিতে হলেও অন্যরকম মানুষদের এই যে সম্মান দিলেন তিনি, তা দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.