সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমি ভয় করব না ভয় করব না। দু’বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।’ বিখ্যাত এই পঙক্তিই যেন ফিরে এল যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেনে। তোপের গোলার পরোয়া না করেই দোনবাসে গেলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। উদ্দেশ্য, আহত সৈনিকদের পাশে দাঁড়ানো এবং রাশিয়াকে কড়া বার্তা দেওয়া।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাঁধভাঙা জলের মতো ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ইউক্রেন থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় আমেরিকা ও ইউরোপের একাধিক দেশ। কিন্তু ময়দান না ছেড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পুতিন বাহিনীর গোলা উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার যুদ্ধে বিধ্বস্ত দোনবাস অঞ্চলে যান জেলেনস্কি। সেখেনে আহত সৈনিকদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বলে রাখা ভাল, লুহান্সক ও ডোনেৎস্ক নিয়ে তৈরি দোনবাস অঞ্চল (Donbas)। ২০১৪ সাল থকেই পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে লড়াই চালাচ্ছে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা। মস্কোর দাবি, লুহান্সক অঞ্চলে ইউক্রেনের আধিপত্য শেষ করে দিয়েছে তারা। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর লিসিচানস্ক সম্পূর্ণ ভাবে দখলে।
কিয়েভ ফিরে এসে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) জানান, দোনবাসে জওয়ানদের সঙ্গে গোটা দিন কাটিয়েছেন তিনি। যুদ্ধের আরও এক মুখ্য কেন্দ্রবিন্দু খারকভেও গিয়েছিলেন বলে জানান জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস থেকে তিনি বলেন, “দেশকে হানাদারদের হাত থেকে মুক্ত করতে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সৈনিক প্রাণ দিয়েছেন। খুব দ্রুত শেষ হানাদারকে আসরা দেশ থেকে বের করে দেব।”
উল্লেখ্য, দোনবাস অঞ্চলের অর্ধেক এলাকাই লুহান্সকের অন্তর্গত এবং রাশিয়া এখন এই জায়গাটিকেই তাদের যুদ্ধপ্রয়াসের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। যদি দোনবাস রাশিয়ার (Russia) পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে পারেন। কিয়েভ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জো ইনউড আগেই জানিয়েছিলেন, পূর্ব দোনবাসে রাশিয়া ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম দখল করেছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী যথেষ্ট বেকায়দায় পড়েছে। কারণ সেনা, কামান, সাঁজোয়া গাড়ি এবং বিমানবাহিনীর শক্তির নিরিখে রাশিয়া অনেকটাই এগিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.