সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাপারাজির ছায়া যেন সরছে না ব্রিটিশ রাজপরিবারের উপর থেকে। বাকিংহাম প্যালেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, রাজকীয় উপাধি ছেড়ে এখন আমজনতা হয়ে গিয়েছেন ডায়না-চার্লসের ছোট ছেলে। প্রিন্স হ্যারি (Prince Harry) এবং স্ত্রী মেগান মর্কেল আপাতত মার্কিন নিবাসী। নিজেদের মতো সাধারণ জীবন কাটাচ্ছেন।
কিন্তু সাধারণ হয়েও সেলিব্রিটি জীবনের ঝক্কি থেক রেহাই নেই। দেখা গেল, হ্যারি-মেগানের বছর খানেকের পুত্র আর্চির ছবি তোলার জন্য পাপারাজ্জিদের (Paparazzi) চেষ্টার খামতি নেই। কখনও বাড়ির পাঁচিলে ক্যামেরা তাক করে, কখনও বা ড্রোন থেকে ক্যামেরা লাগিয়ে রাজপরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্যের ছবি তুলতে মরিয়া ফটোগ্রাফাররা। এতে বেজায় চটেছেন হ্যারি-মোগান। ক্যালিফোর্নিয়ার উচ্চ আদালতে ফটোগ্রাফারদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতি পাপারাজ্জিদের যেন অন্য এক আকর্ষণ। আসলে রূপসী ডায়নার সময় থেকেই তাঁদের নজরটা বেশি। পাপারাজ্জিদের নজর এড়িয়ে বাকিংহাম প্যালেসের পুত্রবধূ ডায়না প্রেমিক ডোডির সঙ্গে সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছিলেন। এরপর গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁদের মৃত্যু হয়। ডায়নার মৃত্যুর পর এ নিয়ে কম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল হয়নি। বড় হয়ে ডায়নার ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারিও মায়ের মৃত্যুর জন্য পাপারাজ্জিদের দায়ী করেছিলেন। এবার তাঁর নিজের জীবনেও সেই একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। হ্যারি-মেগানের বছর খানেকের ছেলে আর্চির ছবি তুলতে হামেশাই ওঁৎ পাতছে ফটোগ্রাফারদের দল। এই অভিযোগ তুলে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন দম্পতি। তাঁদের আইনজীবীর বক্তব্য, ব্যক্তিগত পরিসরে যাতে বহিরাগতরা হস্তক্ষেপ না করে, এই নিরাপত্তাটুকুই চান হ্যারি-মেগান।
শোনা যাচ্ছে, আর্চির ছবি লুকিয়েচুরিয়ে তুলে নাকি তা নিয়ে অপপ্রচার করছে পাপারাজ্জিরা। এক লোকেশনের ছবিকে অন্য লোকেশন বলে ছাপানো হচ্ছে। তাতেই ক্ষিপ্ত ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান মর্কেল। এতে একে তো তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তারউপর অত ছোট বাচ্চাটিরও ক্ষতি করার চেষ্টা চলছে বলে মনে করেন তিনি। হ্যারি-মেগানের মতে, এখন তাঁরা ব্রিটিশ রাজপরিবার থেক বিচ্ছিন্ন। সে অর্থে কোনও রাজকীয় তকমাও নেই। সাধারণের মতো জীবনযাপন করছেন। তাহলে কেন তাঁদের প্রতি এত ঝোঁক পাপারাজ্জিদের? এই প্রশ্ন তুলেছেন হ্যারি। তবে তা নিয়ে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হওয়া বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। আইনি মামলায় জড়িয়ে পড়লে আর্চির পিছু ধাওয়া করা ফটোগ্রাফারদের যে বেশ ঝঞ্ঝাট আছে, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.