নিজস্ব চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুবছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই থামেনি। হামলা পালটা হামলা, মৃত্যুমিছিল সবকিছুই অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই যুদ্ধবিরতির কথা শোনা গেল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গলায়! তবে যুদ্ধ থামানোর জন্য কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছেন তিনি। যা মানতে হবে ইউক্রেনকে। তাহলেই ছেদ পড়বে এই সংঘর্ষে।
২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন পুতিন। বাঁধভাঙা জলের জেলেনস্কির দেশে ঢুকে পড়ে রুশ ফৌজ। তার পর থেকে জারি রয়েছে লড়াই। দীর্ঘসময় ধরে যুদ্ধ করার ফলে গত কয়েকমাস ধরে রণক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কিয়েভকে। এবার শান্তি চাইছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যে কারণে চলতি সপ্তাহের শেষে সুইজারল্যান্ড অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন। যা নিয়ে শুক্রবার মস্কোর রুশ বিদেশমন্ত্রকে কথা বলেন পুতিন।
সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, এদিন বক্তৃতা দেওয়ার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতেই পারি। কিন্তু তার জন্য ইউক্রেনকে নেটোতে যোগদানের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। তাহলেই আমরা আলোচনায় বসতে পারি।” তবে এখানেই পুতিনের দাবি শেষ হয়নি। তিনি আরও শর্ত দেন, “ডোনেটস্ক, লুহানস্ক, জাপরিজজিয়া ও খেরসন থেকে পুরোপুরীভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে ইউক্রেনকে। তবেই আমরা শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে বৈঠকে বসব।” ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন আগে পুতিনের এরকম শর্ত বেঁধে দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।
জানা গিয়েছে, সুইজারল্যান্ড অনুষ্ঠিত হতে চলা ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে যোগ দেবে অন্তত ৯০টি দেশ। বৃহৎ এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একটাই লক্ষ্য। যুদ্ধ থামিয়ে কীভাবে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানো যায়, সেই পথ খুঁজে বের করা। কিন্তু সামিটে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাশিয়াকে। যার পালটা দিয়ে মস্কো জানিয়েছে, ‘এই সম্মেলন সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এই বৈঠকে আগ্রহী নই।’ ফলে এখন সকলের নজর রয়েছে এই শান্তি সম্মেলনের দিকে। ইউক্রেন কী রাশিয়ার শর্ত মেনে নেবে? সেদিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.