সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের আমেরিকাকে পরমাণু হামলার হুমকি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুবছর পেরিয়ে গেলেও থামার নাম নেই রাশিয়া-ইউক্রেন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। ওয়াশিংটনের অস্ত্রবলেই রণক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে কিয়েভ। মস্কোর প্রতিটা হামলার কড়া জবাব ইউক্রেনীয় ফৌজ। এই আবহে, রুশ প্রেসিডেন্টের হুঙ্কার, “আমেরিকা যদি লড়াইয়ের ময়াদনে সেনা পাঠায় তাহলে তা পরমাণু যুদ্ধে উস্কানি দেওয়া হবে। আমরা তার জন্য প্রস্তুত।”
আগামী ১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফের পুতিনের প্রেসিডেন্টের গদিতে বসা একপ্রকার নিশ্চিত। ছয় বছরের জন্য ফের ক্ষমতার রাশ থাকবে তাঁর হাতেই। এই ভোটপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগেই পরমাণু হামলা নিয়ে হুমকি দিলেন পুতিন। রয়টার্স সূত্রে খবর আমেরিকাকে তোপ দেগে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না। ইউক্রেনেও আণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না। কিন্তু সামরিক ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আমাদের যা প্রস্তুতি তাতে কিন্তু পরমাণু যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ তৈরি আমরা।” তিনি আরও বলেন, “আমেরিকার এটা বোঝা উচিত, তারা যদি এই লড়াইয়ে রাশিয়ার অঞ্চলগুলোতে কিংবা ইউক্রেনে মার্কিন ফৌজ মোতায়েন করে তাহলে তারা পরমাণু যুদ্ধের জন্য উস্কানি দেবে।” তবে শুধু ওয়াশিংটন নয় পশ্চিমের অন্যান্য দেশগুলোকেও এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন।
উল্লেখ্য, গত মাসেই ইউক্রেনে ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর সেনা পাঠানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। যা আমেরিকা, জার্মানি, ব্রিটেন এবং অন্য সদস্য দেশগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিল। সেসময়ও পুতিন কড়া হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, “পশ্চিমিরা রাশিয়াকে দুর্বল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পশ্চিমিদের হস্তক্ষেপ কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেটা তারা এখনও ভাবতে পারছে না। তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে আমাদেরও অস্ত্র আছে, যা তাদের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে। তাদের এসব প্রস্তাব আমাদের পারমাণবিক যুদ্ধের দিকেই ঠেলে দেয়। যা সভ্যতার ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। এটা কি তাদের মাথায় ঢোকে না!”
বলে রাখা ভালো, এখনও এই যুদ্ধের কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি। জারি রয়েছে হানাহানি, মৃত্যু মিছিল। যুদ্ধের ময়দানে একে ওপরকে একচুল জমি ছাড়তে নারাজ দুদেশই। চলতি বছরে জানুয়ারির শুরুতেই রাশিয়ায় ‘নিষিদ্ধ’ ক্লাস্টার বোমা ফেলেছিল ইউক্রেন। এই অস্ত্র আমেরিকাই কিয়েভকে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল মস্কো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.