সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে আতঙ্কিত বিশ্ব। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণ। সুযোগ বুঝে ঘোলা জলে মাছ ধরতে অর্থাৎ তাইওয়ান দখল করার চেষ্টা চালাতে পারে চিন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে চতুর্দেশীয় অক্ষ (QUAD) স্পষ্ট জানিয়েছে বেজিং আগ্রাসন চালালে তা মেনে নেওয়া হবে না।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তারপর থেকেই আমেরিকা-সহ গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে সেদিকেই। কিন্তু ইউক্রেনে যা ঘটছে, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় তেমন কিছু হতে দেওয়া চলবে না-এই বিষয়ে একমত হল আমেরিকা, ভারত, জাপন ও অস্ট্রেলিয়ার চতুর্দেশীয় জোট কোয়াড। বলে রাখা ভাল, বৃহস্পতিবার ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন কোয়াড দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা। ওই বৈঠকে সরাসরি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বা চিনা হামলার আশঙ্কা ইত্যাদি বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বরং কোয়াডে সহযোগিতা বাড়ানো ও শান্তি-স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।
এদিকে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে সেই বৈঠকের পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা চিনা অগ্রসনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইঙ্গিতে বেজিংকে নিশানা করে কিশিদা বলেন, “ইন্দো-প্যাসিফিকে একতরফা ভাবে স্থিতাবস্থায় কোনও বদল আনতে দেওয়া হবে না। এই বিষয়ে আমরা সহমত হয়েছি। ইউক্রেনের পরিস্থিতিই এই এলাকাকে মুক্ত ও অবাধ রাখার জন্য আমাদের আরও তৎপর থাকাটা জরুরি করে তুলেছে।”
উল্লেখ্য, ইউক্রেন ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত ও চিন। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ সত্বেও পরোক্ষে বন্ধু মস্কোর পাশেই দাঁড়িয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনকে রুখে আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলতে যে কোনও দ্বিধা নেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছে মোদি সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.