সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিপন্ন শৈশব। পরিবার পরিজন হারিয়ে ঘরছাড়া ইউক্রেনের লক্ষ লক্ষ শিশু। দুই দেশের লড়াইয়ে অনিশ্চিত এই শিশুদের ভবিষ্যৎ। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাশিয়ায় রয়েছে সাত লক্ষ ইউক্রেনীয় শিশু। এই তথ্য দিয়েছেন রুশ পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান গ্রিগরি কারাসিন।
২০২২ সালে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ। আক্রমণ পালটা আক্রমণে ক্রমশ বাড়ছে লড়াইয়ের ঝাঁজ। এই সংঘাতে প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিষ্পাপ শিশুরা। বাবা-মাকে হারিয়ে অনেকেই আজ অনাথ। অভিযোগ, যুদ্ধের শুরুর দিকে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে বলপূর্বক ধরে নিয়ে যায় রাশিয়া। এই প্রেক্ষাপটে গ্রিগরি কারাসিন টেলিগ্রাফে জানিয়েছেন, ‘সাম্প্রতিক বছরে ইউক্রেনের ৭ লক্ষ শিশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে রাশিয়াতে।’ মস্কোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অনাথ ও অন্যান্য শিশুদের শৈশব যাতে বিপন্ন না হয় তাই রাশিয়ার এই উদ্যোগ। সংঘাতের আবহে ইউক্রেনের এই শিশুদের ভবিষ্যৎ যাতে কোনওভাবেই নষ্ট না হয় সেটাই তাদের লক্ষ্য।
এদিকে, রাশিয়ার (Russia) এই দাবিকে কেন্দ্র করে বিতর্কও তৈরি হয়েছে বিস্তর। ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, বহু শিশুকেই বেআইনিভাবে সে দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে সুর চড়িয়েছে আমেরিকাও। তারাও অভিযোগ করেছে, হাজার হাজার শিশুকে জোর করে ঘরছাড়া করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। লড়াইয়ের শুরুর দিকেই কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর খেরসন দখল করে নিয়েছিল রুশ ফৌজ। তারপর শহরটি ফের দখল করতে লড়াই শুরু করে জেলেনস্কি বাহিনী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, রাশিয়ার হাত থেকে কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্নেক আইল্যান্ড উদ্ধার করে ইউক্রেন সেনা। তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাখমুট শহর দখল করেছে রাশিয়া। তবে হারানো জমি উদ্ধারে গত মাসেই ‘কাউন্টার অফেন্সিভ’ বা পালটা হামলা শুরু করেছে জেলেনস্কি বাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.